ছবি: সংগৃহীত
এএসপি বিলগ্নিকরণের জন্য আগ্রহী সংস্থার খোঁজে ডাকা হয়েছিল গ্লোবাল টেন্ডার। তাতে সাড়া না মেলায় ফের টেন্ডারের সময়সীমা বাড়াতে হয়েছে স্টিল অথরিটি অব ইন্ডিয়া লিমিটেডকে (সেল)। তাতে সাময়িক স্বস্তিতে সংস্থার শ্রমিক মহল। বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের অবশ্য দাবি, কেন্দ্র বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্ত থেকে পুরোপুরি সরে না আসা পর্যন্ত টানা আন্দোলন চলবে।
২০১৬ সালে ক্যাবিনেট কমিটি অন ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স (সিসিএফএ) এএসপি-র কৌশলগত বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে। প্রতিবাদে ২০১৭ সালের শুরু থেকে আন্দোলনে নামে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন। ২০১৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সেলের তরফে গ্লোবাল টেন্ডার ডাকা হয়। কিন্তু তিন বার সময়সীমা বাড়িয়েও কোনও সংস্থা এগিয়ে আসেনি।
লোকসভা ভোটের পরে ৪ জুলাই সেল নতুন করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে দুর্গাপুরের এএসপি, কর্ণাটকের ভদ্রাবতী আয়রন অ্যান্ড স্টিল লিমিটেড এবং তামিলনাড়ুর সালেম স্টিল প্ল্যান্টের বিলগ্নিকরণের জন্য গ্লোবাল টেন্ডার ডাকে। পর দিন থেকে নতুন করে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনগুলি আন্দোলনে নেমে পড়ে। টেন্ডার জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ১ অগস্ট। কিন্তু কোনও সংস্থা আগ্রহ না দেখানোয় সময়সীমা ২০ অগস্ট অবধি বাড়ানো হয়। তা-ও পেরিয়ে যায়। এ বার নতুন সময়সীমা দেওয়া হয়েছে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
সিটুর জেলা সভাপতি বিনয়েন্দ্র কিশোর চক্রবর্তী, আইএনটিইউসি-র জেলা সভাপতি বিকাশ ঘটকেরা দাবি করেন, ‘‘বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত টানা আন্দোলন হবে।’’ বিএমএস নেতা অরূপ রায়ও বলেন, ‘‘বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।’’ সম্প্রতি কারখানার সামনে এক সভায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি হুঁশিয়ারি দেন, টেন্ডারে সাড়া দিয়ে কোনও সংস্থা এলেও ঢুকতে দেওয়া হবে না। শ্রমিক-কর্মীদের বড় অংশের আশা, ২০১৮ সালের মতো এ বারও শেষ পর্যন্ত কোনও সংস্থা এগিয়ে আসবে না।