—প্রতীকী চিত্র।
বিবাহ-বহির্ভুত সম্পর্কের জেরে এক ব্যবসায়ীকে খুনের অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম শেখ আব্দুল হক (৫৫) ওরফে কটাই। যে জায়গা থেকে ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার হয়েছে, তার অদূরেই শ্রীখণ্ড ডাকবাংলো এলাকায় তাঁর বাড়ি। ব্যবসায়ীর পরিবার সূত্রে খবর, শনিবার সন্ধ্যায় একটি ফোন পেয়ে বাইক নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন আব্দুল। তার পর থেকে আর বাড়ি ফেরা হয়নি তাঁর। রবিবার কুদ্দুস শেখ ওরফে খুদু নামে এক জনের বাড়ি থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। স্থানীয়েরা দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ আসার আগেই অবশ্য কুদ্দুস সপরিবারে এলাকাছাড়া। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ব্যবসায়ীকে খুন করা হয়েছে। এবং খুনের নেপথ্যে রয়েছে সম্পর্কের টানাপড়েন।
স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে খবর, পশুর চামড়ার ব্যবসায়ী আব্দুলের কাছে কাজ করতেন কুদ্দুস। অভিযোগ, তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে আব্দুলের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল ব্যবসায়ীর। সেই সম্পর্ক এতটাই গভীর ছিল যে, প্রেমিকার নামে কেউ কোনও আপত্তিকর মন্তব্য করলে নাকি মাথা গরম হয়ে যেত ব্যবসায়ীর। সেই প্রেমিকার বাড়ি থেকেই দেহ মিলেছে ব্যবসায়ীর। তবে দেহ উদ্ধারের আগেই থেকে সপরিবারে ‘ফেরার’ প্রেমিকা। পুলিশ যখন আব্দুলের দেহ উদ্ধার করে, তাঁর দেহ ছিল তক্তার উপর শোয়ানো। কিছু দূরেই ব্যবসায়ীর বাইকটি দাঁড় করানো ছিল। আরও খানিক দূরে মেলে ব্যবসায়ীর জুতো জোড়া।
ব্যবসায়ীর পরিবারে আছেন স্ত্রী এবং তিন ছেলে-মেয়ে। দুই ছেলে থাকেন মুম্বইয়ে। মেয়েরও বিয়ে হয়ে গিয়েছে। আর আব্দুলের কাছে কাজ করা কুদ্দুস থাকতেন রেলের জায়গার উপরে টিনের ছাউনি দেওয়া একটি বাড়িতে। তাঁর এটা দ্বিতীয় বিয়ে। এই দম্পতির দুই নাবালক সন্তান রয়েছে। মৃতের প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, কুদ্দুসের স্ত্রীর সঙ্গে আব্দুলের অনেক দিনের ‘সম্পর্ক’। কর্মচারীর বাড়িতে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটাতেন ব্যবসায়ী। মৃতের স্ত্রী নূরনেসা বিবি জানিয়েছেন, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ তাঁর স্বামীর কাছে একটি ফোন আসে। তার পর তিনি বাইক নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। রাতে বার বার ফোন করে গিয়েছেন। কিন্তু ফোন ‘সুইচড অফ’ মেলে। তিনি অভিযোগ করেন স্বামীকে খুন করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পরকীয়া তত্ত্ব এনেছে পুলিশ। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।