দুর্গাপুর স্টেশন বাজার এলাকার বাড়িতে। নিজস্ব চিত্র
পুরনো দোতলা বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ায় জখম হলেন দু’জন। রবিবার রাত ১১টা নাগাদ দুর্গাপুর স্টেশন বাজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়িটি বহু পুরনো। ভাড়ায় বেশ কয়েকটি দোকান চলে। সোমবার সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বাড়িটির এক দিক প্রায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। ছাদের বড়-বড় চাঙড় ভেঙে পড়েছে। কয়েকটি চাঙড়ে রক্তের দাগও রয়েছে। নীচে থাকা একটি দর্জির দোকানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেলাইয়ের যন্ত্র, তৈরি করে রাখা জামাকাপড় নষ্ট হয়ে গিয়েছে। দোকানের মালিক বলরাম সিকদার বলেন, ‘‘৫০ বছরের বেশি সময় ধরে ভাড়া নিয়ে দোকানটি চালাচ্ছি। পুরনো বাড়ি, মেরামতি করার জন্য বলেছিলাম। কিন্তু বাড়ির মালিক গা করেননি। পুজোর আগে কী ভাবে ক্ষতি সামাল দেব বুঝতে পারছি না।’’ তিনি জানান, ওই বাড়ির দোতলায় ছাদের উপরে দু’জন ছিলেন। ছাদ ধসে যাওয়ায় তারা নীচে পড়ে গুরুতর জখম হন। প্রতিদিনের মতো তিনি রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ দোকান বন্ধ করে চলে গিয়েছিলেন। রাত ১১টা নাগাদ খবর পান। তার আগেই পুলিশ তালা ভেঙে জখম দু’জনকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
জনবহুল বাজার এলাকায় এ ভাবে একটি বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। রাতেই বহু দোকানদার ভিড় জমান। তাঁরা অবিলম্বে পুরনো বাড়িটির উপযুক্ত মেরামতির দাবি তোলেন। পুলিশ জানিয়েছে, দীর্ঘদিনের পুরনো বাড়ি নিয়ে ভাড়াটিয়া ও বাড়ির মালিকের দ্বন্দ্ব লেগেই থাকে। কে মেরামত করবেন, তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয় না। দু’পক্ষই পরস্পরের ঘাড়ে দায় চাপানোর চেষ্টা করেন। রবিবার রাতে ছাদ ভেঙে পড়া বাড়িটির মালিকপক্ষ শহরে থাকেন না। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমাধানের চেষ্টা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।