Heat Wave alert at Bardhaman

তাপপ্রবাহে ফাঁকা পথঘাট, সতর্ক থাকার পরামর্শ

শনিবার থেকে আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছে। রবিবার তা আরও বেড়ে হয় ৩৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৫ ০৯:১৮
Share:

গরমের মধ্যে রাস্তায়। দুর্গাপুরে রবিবার। ছবি: বিশ্বনাথ মশান।

এপ্রিল-মে এখনও দূরে। মার্চের মাঝামাঝিই তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছে প্রায় ৩৯ ডিগ্রিতে। সকাল গড়িয়ে দুপুর হতেই রাস্তায় লোকজন কমে যাচ্ছে। তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে বেশ কিছু সতর্কতার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

Advertisement

শনিবার থেকে আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছে। রবিবার তা আরও বেড়ে হয় ৩৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। ছুটির দিনে রাস্তাঘাটে এমনিতেই লোকজন কম ছিলেন রবিবার। তবে রাস্তায় বেরিয়ে দেখা গিয়েছে, চড়া রোদ, গরম হাওয়া থেকে বাঁচতে অনেকেই রাস্তার পাশে ছায়ায় জিরোচ্ছেন। রাস্তায় মোটরবাইকের সংখ্যা একেবারে কম। গাড়িতে কাচ ঢেকে যাতায়াত করছেন আরোহীরা। বাসস্ট্যান্ডেও তেমন ভিড় নেই। শপিংমলেও জমায়েত কম। অধিকাংশ বেসরকারি স্কুল ছুটি থাকলেও, সরকারি অনুদাপ্রাপ্ত স্কুল খোলা রয়েছে এখন। গরমে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় অভিভাবকেরা। শনিবার থেকেই ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মীরা মুখ ঢেকে ও রোদচশমা পরে কাজ করছেন।

চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, কিছু সতর্কতা না নিলে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকছে। শরীর থেকে জলীয় অংশ ও নুন বেরিয়ে যাচ্ছে। ফলে, ক্লান্তি আসছে। সারা দিনে নিয়ম করে জল খেতে হবে। খালি পেটে থাকা যাবে না। তা হলেই গরমে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। পেটের রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে। ডাবের জল, নুন-চিনির জল বা গ্লুকোজ়ের জল ব্যবহার করতে হবে। সহজপাচ্য খাবার খাওয়া, শশা, তরমুজ জাতীয় ফল খাওয়ায় জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

Advertisement

দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ধীমান মণ্ডল বলেন, ‘‘জল খাওয়ার ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। কারণ, এই সময়ে ডায়েরিয়া ও জন্ডিসের প্রকোপের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বাইরে যেখানে সেখানে জল খাওয়া উচিত নয়।’’ তিনি আরও জানান, রোদ এড়াতে সকালের দিকে কাজ সেরে নেওয়া, বেরোনোর আগে শরীর ঢাকা জামাকাপড় পরার মতো কিছু নিয়ম মানতে হবে। বাইরে ছাতা বা টুপি ব্যবহার করতে হবে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, অনেকে বাড়িতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র চালানো শুরু করে দিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে, রোদ থেকে বাড়িতে ঢুকে সোজা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে ঢোকা উচিত নয়। আগে বাড়ির সাধারণ তাপমাত্রায় শরীর সইয়ে, তার পরে ঢুকতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement