রানিগঞ্জের পঞ্জাবি মোড়ের দুর্ঘটনাস্থলে। নিজস্ব চিত্র।
পথ দুর্ঘটনায় জখম হলেন একটি গাড়ির চার জন যাত্রী ও চালক। রবিবার বেলা ১১টা নাগাদ ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে রানিগঞ্জের পঞ্জাবি মোড়ের ঘটনা। এ দিকে, দুর্ঘটনা এড়াতে ফের বাইপাস তৈরির দাবি উঠেছে রানিগঞ্জে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চার জন যাত্রীকে নিয়ে পুরুলিয়ার সাঁতুড়ি থেকে জামুড়িয়ার বেনালি গ্রামে ফিরছিল গাড়িটি। পঞ্জাবি মোড় লাগোয়া এলাকায় একটি টোটো-কে ‘ওভারটেক’ করতে যায় গাড়িটি। তখনই উল্টো দিক থেকে আসা উখড়া-রানিগঞ্জগামী একটি মিনিবাসের সঙ্গে সেটির মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। এলাকাবাসী ও পুলিশকর্মীরা গাড়ির চার জন যাত্রী এবং চালককে রানিগঞ্জের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে গেলে যাত্রীদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। চালক সেখানেই চিকিৎসাধীনয়।
এ দিকে, দুর্ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ যান চলাচল ব্যাহত হয়। যানজটে আটকে পড়েন যাত্রীরা। দুর্ঘটনার পরেই রানিগঞ্জের সিপিএম বিধায়ক রুনু দত্ত জানান, তিনি বিধানসভায় রানিগঞ্জের পঞ্জাবি মোড় থেকে পুর-ভবন পর্যন্ত চার কিলোমিটার অংশ জাতীয় সড়ক থেকে পৃথক করার আর্জি জানিয়েছেন একাধিকবার। কারণ, কোনও জনপদের ভিতর দিয়ে জাতীয় সড়ক যেতে পারে না। এর জেরে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্রায় দেড় দশক আগে রানিগঞ্জের ওই ব্যস্ততম অংশকে জাতীয় সড়কের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। তার পরে রানিসায়র মোড় থেকে একটি বাইপাস তৈরি করেছিল আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ (এডিডিএ)। সিপিএমের দাবি, তারা সাহেবগঞ্জ লাগোয়া এলাকা থেকে মঙ্গলপুর মোড় পর্যন্ত আরও একটি বাইপাস চালুর আবেদন জানিয়েছিল।
‘রানিগঞ্জ বণিক সংগঠনে’র সভাপতি সন্দীপ ভালোটিয়াও জানান, তাঁরাও সাংগঠনিক ভাবে জেলাশাসকের কাছে রানিগঞ্জ শহরের ভিতর দিয়ে যাওয়া চার কিলোমিটার রাস্তাকে জাতীয় সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন করার আর্জি জানিয়েছেন।
জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘‘বাইপাস তৈরি করে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ককে রানিগঞ্জ শহর থেকে আলাদা করার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।’’