দুর্ঘটনার পরে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। নিজস্ব চিত্র
ইসিএলের ভাড়া গাড়ির ধাক্কায় চার বছরের এক বালকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করেগোলমাল বাধল। মঙ্গলবার রাতে ফরিদপুর (দুর্গাপুর) থানার নাকরাকোঁদা গ্রামের ঘটনা। ঘটনার পরে বাসিন্দাদের একাংশ গাড়িটি ও দাঁড়িয়ে থাকা একটি ডাম্পারে ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ। পুলিশ গাড়ি চালক রাজু ঠাকুরকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানায়, সন্ধ্যায় ইসিএল কর্মী রামচন্দ্র সিংহ তাঁর নাতি প্রমিতকে নিয়ে কলোনির রাস্তায় হাঁটছিলেন। প্রমিত বিহার থেকে দিন দুয়েক আগে আত্মীয়দের সঙ্গে দাদুর কাছে এসেছিল। বাজার থেকে দাদুর হাত ধরে ফিরছিল প্রমিত। সিআইএসএফ ক্যাম্পের কাছে আসতেই একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিছন থেকে ধাক্কা মারে। রামচন্দ্রবাবু ছিটকে পড়ে যান। সামান্য জখম হন। কিন্তু গাড়ির সামনের চাকায় পিষ্ট হয় প্রমিত।
এলাকাবাসীর একাংশের দাবি, গাড়ির চালক রাজু তাঁরই এক বন্ধুকে সেই সময়ে গাড়ি চালানো শেখাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার সময়ে সেই বন্ধুর হাতেই ছিল গাড়ির স্টিয়ারিং। দুর্ঘটনার পরে রাজু গাড়ি ছে়ড়ে সিআইএসএফ ক্যাম্পে ঢুকে পড়েন। চম্পট দেন রাজুর বন্ধুও। স্থানীয় বাসিন্দারা ক্যাম্পের সামনে জড়ো হয়ে রাজুকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এর আগেও রাজু বেপরোয়া গাড়ি চালিয়েছেন। তৈরি হয়েছে দুর্ঘটনা ঘটার মতো পরিস্থিতি।
ঘটনার কথা চাউর হতেই বাসিন্দাদের একাংশ এলাকায় জড়ো হন। ভাঙচুর করা হয় গাড়িতে। খবর পেয়ে ফরিদপুর থানা থেকে পুলিশের বড় বাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। উত্তেজিত বাসিন্দারা প্রমিতের দেহ আটকে দোষীর কঠোর শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে র্যাফ নামানো হয়। শেষমেশ বাসিন্দাদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। রাজুকেও উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, রাজুকে গ্রেফতার করে বুধবার দুর্গাপুর আদালতে তোলা হয়। বিচারক ধৃতের ১৪ দিন জেল-হাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। আটক করা হয়েছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটিকে।