পশ্চিম বর্ধমানের মাইথনে। ছবি: পাপন চৌধুরী।
পিকনিকের মরসুমে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে পর্যটকদের ভিড় জমতে শুরু করেছে মাইথনে। আগামী কাল, ২৫ ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত মাইথন জলাধার ও জলাধার লাগোয়া এলাকায় সাধারণের প্রবেশের বিষয়ে কিছু নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছে ডিভিসি। পাশাপাশি, বেশ কিছু নির্দেশের কথা জানিয়েছে পুলিশ ও প্রশাসনও।
নিষেধাজ্ঞাগুলির মধ্যে রয়েছে— মাইথন জলাধারের রাস্তায় ২৫ ডিসেম্বর থেকে ৭ জানুয়ারি এবং ১৪ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক যান চলাচল নিষিদ্ধ। তবে ডিভিসি, সিআইএসএফ, পুলিশ, অ্যাম্বুল্যান্স ও প্রাশাসনিক আধিকারিকদের যানবাহন চলাচলে ছাড় দেওয়া হয়েছে। গাড়িতে মাইথন ভ্রমণে আসা পর্যটকদের ছট ঘাট ও কালীপাহাড়িতে বানানো অস্থায়ী পার্কিং-জ়োনে গাড়ি রাখতে হবে। বিষয়টি যাতে ঠিক ভাবে পালিত হয়, তা দেখতে সিআইএসএফ, পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড পুলিশের যৌথ দল গঠন করা হয়েছে। ডিভিসির জনসংযোগ আধিকারিক অরবিন্দ সিংহ বলেন, “জলাধার ও পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্যই এই ব্যবস্থা।”
এ দিকে, সালানপুর ব্লক প্রশাসন ও আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটও পর্যটকদের জন্য বিশেষ কিছু সতর্কবার্তার কথা জানিয়েছে। সালানপুর ব্লকের আওতায় থাকা চারটি খেয়াঘাট থেকে বিকেল সাড়ে ৪টের পরে নৌকা ভ্রমণ করা যাবে না। নৌকা ভ্রমণের সময়ে চালক ও পর্যটক, সকলকেই লাইফ জ্যাকেট পরতে হবে। নৌকায় চাপার পরে নিজস্বী তোলা যাবে না।ঘটনাচক্রে, গত বছর নিজস্বী তুলতে গিয়ে এক জন বরাকর নদেতলিয়ে যান।
সালানপুর ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে, পিকনিক করতে আসা পর্যটকদের পরিবেশবান্ধব সামগ্রী, যেমন, শালপাতার থালা, মাটির ভাঁড় ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে। থার্মোকল ও পলিথিনের গ্লাস, থালা ব্যবহার করা যাবে না। পিকনিকের সময় ডিজে ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বন দফতর।