Cattles roam Parks

পার্ক খাটাল মালিকদের দখলে, নালিশ

২০১৩-এ পার্কটি গড়ে ওঠে। সেখানে বাচ্চাদের খেলার দোলনা, বড়দের বসার জায়গা ও ফুলের বাগান করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪ ০৯:০৩
Share:

পার্ক পরিণত হয়েছে খাটালে। রাঁচী কলোনি এলাকায়। নিজস্ব চিত্র jayantamosan@gmail.com

পার্ক ব্যবহার করছেন খাটাল মালিকদের একাংশ, এমনই অভিযোগ দুর্গাপুর পুরসভার বাসিন্দাদের একাংশের। শহরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডে রাঁচী কলোনির ওই পার্কের অবস্থা বেহাল বলে দাবি তাঁদের। পুরসভার তরফে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

২০১৩-এ পার্কটি গড়ে ওঠে। সেখানে বাচ্চাদের খেলার দোলনা, বড়দের বসার জায়গা ও ফুলের বাগান করা হয়। পরে একটি শেড-ও তৈরি করে দেওয়া হয়। পাড়ার খুদেরা বিকেলে খেলাধুলো করত পার্কে। বড়দের অনেকে পার্কে ঘুরতে আসতেন। বসে গল্প করতেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পার্কের পরিকাঠামো বেহাল হতে থাকে। এখন সেখানে গবাদি পশু চরে বেড়ায়। খাটাল মালিকদের একাংশ গোবর ও ঘুঁটে রেখে দেন সেখানে। পার্কের দোলনা ভেঙে গিয়েছে। এক সময়ে শৌচাগার চালু ছিল। এখন তা তালাবন্ধ। আগাছা জন্মেছে যত্রতত্র।

এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ, সন্ধ্যা নামলে পার্কে বহিরাগতরা মদের আসর বসান। স্থানীয় বাসিন্দা জীবনকৃষ্ণ সেনের দাবি, ‘‘পার্ক বেহাল। তার উপরে আবার খাটাল মালিকেরা তাঁদের প্রয়োজন মতো একাংশ দখল করে রেখেছেন। ফলে সেটি ব্যবহারের উপযোগী নেই।’’ তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী জবরদখল হটাতে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। আশা করি এই পার্ক থেকে জবরদখল হটানো হবে। সংস্কার করে আবার পার্কটিকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দেবে পুরসভা।’’ বিজেপির বর্ধমান-দুর্গাপুর সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বলছেন জবরদখল হটাতে। কিন্তু দুর্গাপুরে বহু সরকারি জমি দখল হয়ে গিয়েছে। জবরদখল হটাতে এখনও পর্যন্ত কোনও উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।” পুর প্রশাসক অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় জানান, আজ, সোমবার পুরসভার দল পার্ক পরিদর্শনে যাবে। পার্ক যাতে আগের অবস্থায় ফিরে আসে, সেই ব্যবস্থা করা হবে। যাঁরা দখল করে রেখেছেন, তাঁদের সরে যেতে
বলা হবে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement