উপপ্রধানের বিরুদ্ধে নালিশ রেশন ডিলারের। প্রতীকী চিত্র।
প্রায় তিন-চার মাস ধরে উপভোক্তারা রেশনের জিনিসপত্র পাচ্ছেন না। বার বার রেশন ডিলারকে জানিয়েও লাভ হচ্ছে না। এমন অভিযোগ তুলে শনিবার বুদবুদ থানার সামনে প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে সংশ্লিষ্ট রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দাদের একাংশ। এ দিকে, ওই রেশন ডিলারের দাবি, তৃণমূল পরিচালিত বুদবুদ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তাঁকে ভয় দেখিয়ে বহু জিনিসপত্র নিয়েছেন। ফলে স্থানীয়দের রেশন দেওয়া যাচ্ছে না। অভিযোগ মানেননি উপপ্রধান রুদ্রপ্রসাদ কুন্ডু।
বুদবুদের অ্যামুনেশন রোডের বাসিন্দাদের একাংশ জানিয়েছেন, তাঁদের এলাকায় চঞ্চল দে নামে এক রেশন ডিলার রয়েছেন। তাঁর কাছ থেকেই স্থানীয়েরা রেশনের জিনিসপত্র পান। সৌমিত্র রায় নামে এক উপভোক্তার বক্তব্য, “প্রায় পাঁচ মাস ধরে বিভিন্ন উপভোক্তাকে জিনিসপত্র নেওয়ার জন্য স্লিপ দেওয়া হচ্ছে। রেশন ডিলার জানাচ্ছেন, মাসের শেষে জিনিস দেওয়া হবে। কিন্তু তা হচ্ছে না।” এ দিন থানায় বিক্ষোভ দেখানো হয় এই অভিযোগেই। একই অভিযোগে দিন দুয়েক আগে চঞ্চলের বাড়ির সামনেও বিক্ষোভ দেখানো হয়।
তবে রেশন ডিলার চঞ্চল এই পরিস্থিতির জন্য উপপ্রধান রুদ্রপ্রসাদকে অভিযুক্ত করেছেন। তাঁর অভিযোগ, “উপপ্রধান জোর করে প্রায় ৩০০ কুইন্টাল রেশনের জিনিসপত্র নিয়েছেন। তা দিতে চাইছেন না। ছেলেকে মারধর করেছেন। আমাকেও খুনের হুমকি দিয়েছেন। এ জন্যই উপভোক্তাদের জিনিসপত্র দিতে পারছি না।” চঞ্চলের দাবি, বিষয়টি তিনি খাদ্য দফতর থেকে ব্লক প্রশাসন, সব জায়গাতেই জানিয়েছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও লাভ হয়নি।
যদিও, রুদ্রপ্রসাদের পাল্টা দাবি, “যাঁরা রেশন পাচ্ছেন না, তাঁরা আমার কাছে আসছেন। সে সব উপভোক্তাদের কোথায় অভিযোগ জানাতে যেতে হবে, তা আমি বলে দিচ্ছি। ওই রেশন ডিলার ভিত্তিহীন কথা বলছেন। আমি কারও থেকে কিছুই নিইনি।”
বিষয়টি নিয়ে খাদ্য দফতরের ইনস্পেক্টর (গলসি ১) স্বপন সর ফোনে বলেন, “বাইরে আছি।” বিডিও (গলসি ১) দেবলীনা দাস বলেন, “বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।” তবে এ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির বর্ধমান সদরের সহ-সভাপতি রমন শর্মার বক্তব্য, “তৃণমূল নেতারা সর্বত্রই লুট চালাচ্ছেন, এই ঘটনা তার প্রমাণ।” তৃণমূলের গলসি ১ ব্লক সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “প্রশাসনের কাছে অভিযোগ হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্তও হবে। দলীয় স্তরেও আমরা বিষয়টি নিয়েআলোচনা করব।”