—নিজস্ব চিত্র।
করোনা পরিস্থিতিতে চলতি বছরে রানিগঞ্জের সিয়ারসোল রাজবাড়ির ঐতিহ্যবাহী রথের দড়িতে টান পড়ল না। ফলে আসানসোল শিল্পাঞ্চলে ১৮৪ বছরের পুরনো এই উৎসবে ছেদ পড়ল। চলতি বছরে রথযাত্রার পাশাপাশি একে কেন্দ্র করে ১৫ দিনের যে মেলা হত, সেটিও বাতিল করা হয়েছে।
সিয়ারসোলের মালিয়া পরিবার আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, চলতি বছরে রথযাত্রা বাতিল করা হবে। যদিও কুলদেবতা দামোদর চন্দ্রের পুজোর পর রথে চাপিয়ে ফের তা রথ থেকে নামিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ওই পরিবার। সোমবার করোনাবিধি মেনে নিষ্ঠা সহকারে রাজবাড়ির কুলদেবতা দামোদর চন্দ্রের পুজো করা হয়। এর পর ওই বিগ্রহটি রথে চাপিয়ে সে রথ পদক্ষিণ করিয়ে ফের মন্দিরে ফিরিয়ে আনা হয়। করোনাবিধি মেনেই ভক্তরা রাজবাড়িতে এসে পুজোপাঠ করেন।
প্রসঙ্গত, ১৮৩৬ সালে জমিদার গোবিন্দপ্রসাদ পণ্ডিতের উদ্যোগে সিয়ারশোলের রথযাত্রা শুরু হয়। যদিও বহু বছর ধরেই রথযাত্রার সামগ্রিক পরিচালনায় রয়েছে সিয়ারশোল স্পোর্টস অ্যান্ড কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন। অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গোবিন্দপ্রসাদের উত্তরসূরি বিঠলভাই মালিয়ার দাবি, ‘‘পুরনো কাঠের রথটি ভস্মীভূত হয়ে যাওয়ায় ১৯২২ সালে পিতলের আচ্ছাদনে ৩৫ ফুট উঁচু একটি রথ তৈরি করা হয়। মাহেশের আদলে তৈরি সিয়ারশোলের রথে থাকে রাজবাড়ির কুলদেবতা দামোদর চন্দ্রের বিগ্রহ। প্রতি বছর নতুন জমিদারবাড়ি থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে পুরনো জমিদারবাড়ি পর্যন্ত রথ টানা হয়। উল্টোরথ হয় নবম দিনে। সিয়ারসোল রাজবাড়ির তরফে জানানো হয়েছে, সে দিনও উল্টোরথ না হলেও একই ভাবে করোনাবিধি মেনে পুজো করা হবে।