প্রতীকী ছবি।
কয়লার অবৈধ কারবারে যুক্ত অভিযোগে যোগীন্দর সাহা ওরফে মনু নামে এক ব্যক্তিকে শুক্রবার গ্রেফতার করল পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জ থানা। ধৃতকে শনিবার আসানসোল আদালতে তোলা হলে, তিন দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। পুলিশের দাবি, অবৈধ কয়লার পরিবহণে ব্যবহার করা হচ্ছে, ভুয়ো নম্বর প্লেট।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৭ জুন প্রায় ৫০ টন অবৈধ কয়লা বোঝাই দু’টি ডাম্পার রানিগঞ্জে ধরা পড়ে। আসানসোলের কালীপাহাড়ি থেকে ডাম্পার দু’টিকে অনুসরণ করে সিআইএসএফ। রানিগঞ্জে সে দু’টিকে ধরে সিআইএসএফ আধিকারিক মনোজ সাহা বুঝতে পারেন, সেগুলিতে অবৈধ কয়লা রয়েছে। ডাম্পার দু’টিকে রানিগঞ্জ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর পরে তদন্তে নেমে পুলিশ ও সিআইএসএফ দেখে, ডাম্পার দু’টিরই নম্বর প্লেট ভুয়ো। সে দু’টির রানিগঞ্জের একটি কারখানায় যাওয়ার কথা ছিল বলে দাবি।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের বাসিন্দা যোগীন্দর এই অবৈধ কয়লা পাচারের ‘মাথা’। পুলিশের দাবি, ধৃত জেরায় তাদের কাছে স্বীকার করেছে, গত কয়েক মাস ধরে তাদের একটি ‘সিন্ডিকেট’ এই কারবার চালাচ্ছে। নিয়মিত ভাবে ডাম্পারের নম্বর প্লেট পাল্টে ভুয়ো নম্বর প্লেট লাগিয়ে বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান ও বাঁকুড়ার বিভিন্ন কারখানায় এই কয়লা পাঠানো হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন খনি থেকে কয়লা পাচার করে পশ্চিমবঙ্গেআনা হচ্ছে।
গত ৪ জুলাই জামুড়িয়ার কুনস্তরিয়ায় ‘কয়লা মাফিয়া’ সুমিত মণ্ডলের বাড়িতে জামুড়িয়া থানার পুলিশ হানা দিয়ে তাঁর গ্যারাজে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়ি থেকে প্রায় দু’কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করে। গাড়িটি ছিল রানিগঞ্জের কয়লা ব্যবসায়ী অবিনাশ সিংহের। এর প্রায় ১৫ দিনের মাথায় অবৈধ কয়লার কারবারে যুক্ত থাকার অভিযোগে শিল্পাঞ্চলের চার কয়লা ব্যবসায়ী ওমপ্রকাশ আগরওয়াল, যুধিষ্ঠির ঘোষ,অভিষেক সিংহ ও বিজয় সিংহকে হেফাজতে নেয় সিআইডি। তবে এখনও অধরা সুমিত ও অবিনাশ। পুলিশের অনুমান, ধৃত কয়লা-ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে যোগীন্দরেরও।
পুলিশ জানায়, বরাকরের ডুবুরডিহি চেকপোস্টে পশ্চিমবঙ্গমুখী কয়লার গাড়ি প্রবেশের উপরে আরও বেশি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।