প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ এবং এমএসএমই মন্ত্রকের মন্ত্রী নীতিন গডকড়ির কাছে ইস্পাত শিল্পে সমস্যার কথা জানিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আর্জি জানানোর কথা জানাল ‘রানিগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স’।
বণিকসভাটির ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কমিটি’র চেয়ারম্যান সন্দীপ ভালোটিয়া জানান, সম্প্রতি মন্ত্রীর দফতর থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের নানা ক্ষেত্রে শুধু ব্লাস্ট ফার্নেস থেকে তৈরি ইস্পাতই ব্যবহার করা হবে। সন্দীপবাবুর দাবি, ‘‘স্পঞ্জ আয়রন কারখানা ও ব্লাস্ট ফার্নেস থেকে ইস্পাত তৈরি হয়। দু’টি ক্ষেত্রেই একই রকম কাঁচামাল ব্যবহার করা হয়। দু’টি ক্ষেত্রেই উৎপাদিত ইস্পাত ‘ব্যুরো অব ইন্ডিয়ান স্টান্ডার্ড’-এর গুণমান সম্পন্ন।’’ কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের এই নির্দেশিকার পরে, দক্ষিণবঙ্গের শিল্পোদ্যোগীদের অনেকেই সমস্যায় পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা বণিকসভার কর্তাদের। তাঁরা জানান, দক্ষিণবঙ্গে ২৫টিরও বেশি স্পঞ্জ আয়রন কারখানা রয়েছে। এই নির্দেশিকা বাস্তবায়িত হলে, স্পঞ্জ আয়রন কারখানাগুলির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা কারখানা কর্তৃপক্ষের। তাঁরা জানান, ব্লাস্ট ফার্নেস থেকে তৈরি ইস্পাত কারখানায় যে সংখ্যায় কর্মী দরকার, তার থেকে বেশি কর্মী প্রয়োজন স্পঞ্জ আয়রন কারখানায়। আবার স্পঞ্জ আয়রন কারখানার সঙ্গে থাকে ‘ইন্ডাকশন’ কারখানা। ফলে, বিক্রিতে প্রভাব পড়লে কর্ম সংস্থান ও শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্নচিহ্ন দেখা যাবে।
বণিকসভাটির কার্যকরী সভাপতি সঞ্জয় ডালমিয়ার দাবি, ‘‘কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমরা চাই, দু’ধরনের কারখানা থেকেই ইস্পাত নেওয়া হোক।’’