Raju Jha Murder Case

রাজু ঝা খুনে ভিন্‌রাজ্য থেকে গ্রেফতার আরও দুই, ঝাড়খণ্ডে বসেই কি হত্যার নীল নকশা?

রাজু ঝা খুনের প্রায় এক মাস পরে আরও ২ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম ইন্দ্রজিৎ গিরি এবং লালবাবু কুমার। কী ভাবে তাঁরা এই খুনের মামলায় জড়ালেন?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০২৩ ১০:৫৯
Share:

খুনিদের পালানোর জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল এই সাদা গাড়িটি। সেই সূত্র ধরে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।

ব্যবসায়ী রাজু ঝা খুনে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করল রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। ধৃতদের নাম ইন্দ্রজিৎ গিরি এবং লালবাবু কুমার। সোমবার রাঁচির একটি বাড়ি থেকে পুলিশ ওই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। সব মিলিয়ে এই ঘটনায় মোট তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ইন্দ্রজিতের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে। লালবাবুর বাড়ি বিহারের গয়া জেলার কাল্লিপুর থানার আকবরপুরে। তবে মাসখানেক ধরে রাঁচির জগন্নাথপুরে একটি বাড়ি ভাড়া করে ছিলেন তাঁরা। স্থানীয় থানার সাহায্য নিয়ে সোমবার সেখান থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবারই ধৃতদের বর্ধমান সিজেএম আদালতে তোলা হলে ১০ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর আগে রাজু খুনে গ্রেফতার হন অভিজিৎ মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি।

তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, রাজুকে খুনের পর দুষ্কৃতীরা গাড়ি বদল করেন। তাঁরা একটি সাদা গাড়িতে চেপে পালিয়ে যায়। ওই গাড়িটি দিল্লি থেকে জোগাড় করেছিলেন ইন্দ্রজিৎ এবং লালবাবু। ওই গাড়িটি উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

গত ১ এপ্রিল সন্ধ্যায় শক্তিগড় ল্যাংচা হাবের কাছে দুষ্কৃতীদের গুলিতে প্রাণ হারান কয়লার কারবারি রাজু। খুনিদের দলে তিন জন ছিল। তাঁরা একটি নীল গাড়িতে চেপে এসেছিলেন। পরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ওই গাড়িটি এসেছিল ঝাড়খণ্ড থেকে। যা থেকে অনুমান করা হয় ভিন্‌রাজ্যের সুপারি কিলার দিয়ে রাজুকে খুন করা হয়। তবে এই খুনের নেপথ্যেও ভিন্‌রাজ্যেরই কেউ আছেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে তদন্তে নেমে সিট জানতে পারে সুপারি কিলাররা নীল গাড়িটি ফেলে রেখে একটি সাদা গাড়িতে চেপে আবার ঝাড়খণ্ডের দিকেই চলে যান। ধৃত অভিজিৎকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই সাদা গাড়ি, ইন্দ্রজিৎ এবং লালবাবু সম্পর্কে তথ্য পায় পুলিশ। এর পর রবিবার সিটের কয়েক জন অফিসার রাঁচির উদ্দেশে রওনা দেন।

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সিট আরও এক জনের নাম পেয়েছে। তিনি দুর্গাপুরের এক ব্যবসায়ীকে খুনের পরিকল্পনা নিয়ে কয়েক জনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। এখন ওই সাদা গাড়িটির হদিস মিললে রাজুর খুনের তদন্তে অনেক জট খুলে যাবে মনে করছেন তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement