রেলের এই ঘরেই চলে প্রাথমিক স্কুলটি। নিজস্ব চিত্র
আগাম বিজ্ঞপ্তি ছাড়া ভবন বিপজ্জনক দাবি করে স্কুলে তালা ঝুলিয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষ। পরে স্কুলের তরফে সময় চেয়ে আর্জি জানানো হয়। শুক্রবার ছ’মাসের মধ্যে স্কুল অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হবে এই মর্মে লিখিত আশ্বাস পেয়ে কাটোয়ার ওই ভবনের তালা খুলে দিল রেল।
কাটোয়া-বর্ধমান রোডের ধারে রেলের ওই ভবনে প্রায় চল্লিশ বছর ধরে চলছে ইস্টার্ন রেলওয়ে অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। এ দিন যথাযথ ভাবেই পঠনপাঠন হয়। ওই ভবনে থাকা অঙ্গনওয়াড়িটিও চলেছে। বেলা ১২টা নাগাদ স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, ভবনটির একাধিক দেওয়ালের পলেস্তরা খসে পড়েছে। ছাদও টিনের। স্কুলের দেওয়াল ভেদ করে বটগাছের শিকড়ও নেমে এসেছে। তার মধ্যেই লাফালাফি করে খেলছে পড়ুয়ারা। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মিতা বিশ্বাস বলেন, ‘‘রেলের তরফ থেকে স্কুলটি খুলে দেওয়ায় আমাদের খুবই উপকার হয়েছে। হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আতান্তরে পড়ে গিয়েছিলাম।’’
কাটোয়ার পুরপ্রধান তথা বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘স্কুল ভবনটি খুলে দেওয়ার জন্য রেলের আধিকারিককে আবেদন জানিয়েছিলাম। সেই মতো সিল খুলে দেওয়া হয়েছে।’’ আগামী ছ’মাসের মধ্যে স্কুলের নিজস্ব জায়গায় নতুন ভবন তৈরি করে স্কুল সরিয়ে নেওয়া হবে বলেও তাঁর দাবি। কাটোয়া স্টেশন ম্যানেজার অরূপকুমার সরকার জানান, ছ’মাস সময় দেওয়া হয়েছে। তবে কোনও বিপদ ঘটে গেলে রেল কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না বলে জানানো হয়েছে।