Rabindranath Chatterjee

Rabindranath-TMC: ‘এগিয়ে যেতে হবে’, বার্তা কান্দরার সভায়

এ দিন কান্দরায় কেতুগ্রামের ১৭টি পঞ্চায়েতের নেতাদের নিয়ে বিধায়ক শেখ সাহানেওয়াজের নেতৃত্বে কর্মী সম্মেলন হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কেতুগ্রাম শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২২ ০৯:৩৫
Share:

কেতুগ্রামে বৈঠক। নিজস্ব চিত্র

দুই জেলার নেতৃত্বের সঙ্গেই সংযোগ রেখে চলতে হবে, অনুব্রত মণ্ডলের নজরদারিতে থাকা পূর্ব বর্ধমানের তিন বিধানসভা এলাকার নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য নেতৃত্ব। সে অনুযায়ী, শনিবার কেতুগ্রামে দলের বৈঠকে যোগ দিলেন বীরভূম ও পূর্ব বর্ধমান, দুই জেলার নেতৃত্বই। ওই এলাকাগুলি আপাতত দেখভাল করতে বলা হয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কে। এ দিন বৈঠক শেষে তিনি বলেন, ‘‘যুদ্ধক্ষেত্রে কোনও জেনারেল আহত হলে পরের জনকে এগিয়ে আসতে হয়। দল যখন যাঁকে যা দায়িত্ব দেবে, তা পালন করতে হবে।’’ বৈঠকে বীরভূমের নেতা চন্দ্রনাথ সিংহ দাবি করেন, ‘‘আমরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছি। বিজেপি ষড়যন্ত্র করে এজেন্সি দিয়ে আমাদের আটকে রাখতে পারবে না।’’

Advertisement

এ দিন কান্দরায় কেতুগ্রামের ১৭টি পঞ্চায়েতের নেতাদের নিয়ে বিধায়ক শেখ সাহানেওয়াজের নেতৃত্বে কর্মী সম্মেলন হয়। রবীন্দ্রনাথ, চন্দ্রনাথ ছাড়াও ছিলেন বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল, কেতুগ্রাম ১ ও ২ ব্লকের সভাপতি তরুণ মুখোপাধ্যায় ও বিকাশ মজুমদার। সাহানেওয়াজ কর্মীদের জানান, কেউ ভুল করলে মানুষের কাছে গিয়ে ক্ষমা চান। কোন কর্মী দুর্নীতি করলে দল পাশে থাকবে না। অসিত মাল ও সাহানেওয়াজ প্রায় একই সুরে জানিয়ে দেন, পঞ্চায়েতে একই ব্যক্তি কাজ পাচ্ছেন, এ সব চলবে না। কাউকে ভয় দেখিয়ে দমিয়ে রাখা যাবে না।

চন্দ্রনাথ কর্মীদের আশ্বস্ত করেন, কোনও কারণে কোনও নেতা না থাকলেও, চিন্তা করার কিছু নেই। অন্য কেউ এসে দলের হাল ধরে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। রবীন্দ্রনাথ পঞ্চায়েত ভোট সামনে রেখে নানা উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথা প্রচার করা, বুথে সংগঠন আরও শক্তিশালী করা, ‘নিষ্ক্রিয়’ কর্মীদের ফের সক্রিয় করার বার্তা দেন। পরে সংবাদমাধ্যমের একাংশের কাছে রবীন্দ্রনাথের অভিযোগ, ‘‘বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে থাকায় কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোটে অনুব্রত মণ্ডল দলকে অনেক শক্তিশালী করেছেন। এখন তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। এ দিন কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে ভাল লেগেছে।’’

Advertisement

বিজেপির কাটোয়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তৃণমূল গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। তাই নেতৃত্বে বদল হলেও, মানুষকে আর পাশে পাবেন না ওঁরা।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement