উদ্ধার ময়াল। নিজস্ব চিত্র
সকাল সাড়ে ৮টা, বুধবার। কয়েক জন রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়ে আঁতকে উঠলেন। দেখলেন, মিঠানি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের পিছনে চিকিৎসাকেন্দ্রের উঠোনে প্রায় ১২ ফুট লম্বা একটি ময়াল বড় মাপের একটি মুরগি গিলতে ব্যস্ত। মুহূর্তে ভিড় জমে যায় এলাকায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই মুরগিটিকে মুখে নিয়েই জঙ্গলে ঢুকে পড়ে ময়ালটি।
আসানসোল পুরসভার ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের কুলটি থানার মিঠানি গ্রামে বুধবার উদ্ধার হওয়া এই ময়াল সাপটিকে কেন্দ্র করে হুলস্থূল বাধে এলাকায়। বাসিন্দারা জানান, কয়েক দিন থেকেই গ্রামের অনেকেরই মুরগি হারিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু বোঝা যাচ্ছিল না সেগুলি কোথায় যাচ্ছে। অনেকে আবার জানিয়েছেন, গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলের পাশে দাঁড়িয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে কুকুরের দলকে মাঝে মাঝে তারস্বরে ডাকতে দেখা গিয়েছে। এমনকি, মঙ্গলবার বিকেলেও চিকিৎসাকেন্দ্র লাগোয়া ঝোপঝাড় অস্বাভাবিক ভাবে দুলতে দেখেছিলেন অনেকেই। বাসিন্দারা অবশ্য এ নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাননি।
স্থানীয় বাসিন্দা চিন্তাহরণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ চিকিৎসাকেন্দ্রের উঠোনে ওই ভাবে ময়ালটিকে দেখে খুবই ঘাবড়ে গিয়েছিলাম।’’ শেষমেশ ময়ালটিকে ধাওয়া করেন এলাকাবাসী। প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় ময়ালটিকে বস্তাবন্দি করেন এলাকাবাসী। গ্রামবাসী জানান, টানা কয়েক ঘণ্টার ছোটাছুটিতে ময়ালটি নেতিয়ে পড়েছিল। ময়ালটি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার জন্য এলাকাবাসী খবর দেন নিয়ামতপুর পুলিশ ফাঁড়িতে। খবর দেওয়া হয় বন দফতরেও। এলাকাবাসী জানান, পুলিশ ও বন দফতরের কর্মীদের আসতে দেরি দেখে তাঁরা নিজেরাই ময়ালটিকে বস্তাবন্দি করে ঢাকেশ্বরী জঙ্গলে ছেড়ে দিয়ে আসেন। বন দফতরের ডিএফও (দুর্গাপুর) মিলনকান্তি দে বলেন, ‘‘খবর পাওয়া মাত্র চিত্তরঞ্জন রেঞ্জ অফিস থেকে আধিকারিক ও কর্মীরা মিঠানি গ্রামে যান। কিন্তু তাঁরা গিয়ে দেখেন, তাঁদের পৌঁছনোর আগেই ময়ালটিকে জঙ্গলে ছে়ড়ে দিয়েছেন এলাকাবাসী।’’