দুর্গাপুরে মিছিল। নিজস্ব চিত্র
কোয়ার্টার লিজ় ও লাইসেন্স দেওয়ার দাবিতে দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের (ডিএসপি) প্রাক্তন কর্মীরা দু’সপ্তাহেরও বেশি নগর প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করছেন। বৃহস্পতিবার তাঁদের সমর্থনে এগিয়ে এল ‘এএসপি বাঁচাও, দুর্গাপুর বাঁচাও’ মঞ্চ। এ দিন মিছিল করে মঞ্চের সদস্যেরা অবস্থান মঞ্চে যান। দ্রুত পদক্ষেপ করার দাবি জানান মঞ্চের নেতারা।
ডিএসপি সূত্রে জানা যায়, টাউনশিপে কোয়ার্টারের সংখ্যা ১৯ হাজারের বেশি। সংস্থার প্রাক্তন শ্রমিক-কর্মীদের নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে কোয়ার্টার লিজ় বা লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে অতীতে। তবে এখনও হাজারের উপরে প্রাক্তন কর্মী লিজ় বা লাইসেন্স ছাড়াই বাস করছেন ডিএসপি-র কোয়ার্টারে। ওই কর্মীরা জানান, এই কারণে তাঁদের গ্র্যাচুইটির টাকা আটকে রেখেছেন কর্তৃপক্ষ। দ্রুত কোয়ার্টার লিজ় দেওয়ার দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করছেন প্রাক্তন কর্মীরা। এ বার গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় অবস্থান কর্মসূচি।
ইতিমধ্যে অবস্থান মঞ্চে গিয়ে সিটু, বিএমএস ও আইএনটিটিইউসি সেখানে গিয়ে সমর্থন জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার ‘এএসপি বাঁচাও, দুর্গাপুর বাঁচাও’ মঞ্চের তরফে প্রাক্তন কর্মীদের দাবির সমর্থনে মিছিলের ডাক দেন সিটু নেতা বিনয়েন্দ্রকিশোর চক্রবর্তী, আইএনটিইউসি নেতা বিকাশ ঘটকেরা। বিকেলে মিছিল এলাকা পরিক্রমা করে। মিছিল শেষ হয় অবস্থান মঞ্চে।
সিটু নেতা তথা দুর্গাপুর পূর্বের বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় বলেন, ‘‘ডিএসপি কর্তৃপক্ষ কোয়ার্টার লিজ় বা লাইসেন্স দেওয়ায় গড়িমসি করে অন্যায় ভাবে প্রাক্তন কর্মীদের গ্রাচ্যুইটির টাকা আটকে রেখেছেন।’’ বিনয়েন্দ্রকিশোরবাবু বলেন, ‘‘মানসিক অবসাদ ও অনিশ্চয়তায় ভুগছেন প্রাক্তন কর্মীরা।’’ আইএনটিইউসি-র জেলা সভাপতি বিকাশ ঘটকও বলেন, ‘‘দীর্ঘ কর্মজীবন এবং অবসরের পরেও, বহু দিন ধরে ওই কর্মীরা রয়েছেন একই কোয়ার্টারে। দ্রুত কোয়ার্টারগুলি তাঁদের নামে করতে হবে।’’
অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের সংগঠনের সভাপতি বিষ্ণুদেও সিংহ বলেন, ‘‘কোয়ার্টার লিজ় বা লাইসেন্স মিললে গ্র্যাচুইটির টাকাও ফেরত পাওয়া যাবে। দু’দিক থেকেই উপকৃত হবেন কয়েক দশক ধরে ডিএসপি-তে কাজ করে আসা প্রাক্তন কর্মীরা।’’ ডিএসপি কর্তৃপক্ষ জানান, সেলের নির্দেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে ডিএসপি।