জিআরও দফতরের এক মহিলা আধিকারিকের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে কালনা এসিজেএম আদালত বয়কট করেছিলেন আইনজীবীরা। ওই আধিকারিককে সরিয়ে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছিলেন। সেই ঘটনায় ব্যবস্থা না নেওয়ায় শুক্রবার এসিজেএমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে জেলা জজের কাছে চিঠি পাঠালেন তাঁরা। টানা চার দিন আদালতের কাজকর্ম বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন বিচারপ্রার্থীরাও।
সমস্যা শুরু ১০ জানুয়ারি। আইনজীবীদের দাবি, দুপুর নাগাদ কালনা আদালতের আইনজীবী কাঞ্চন মুখোপাধ্যায় একটি মামলার নথিপত্র দেখার জন্য জিআরও দফতরে ঢোকেন। নথিপত্র দেখতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এমনকী, ঘর থেকে বেরিয়ে যেতেও বলেন। পরে কাঞ্চনবাবু অন্য আইনজীবীদের বিষয়টি জানান। প্রতিবাদে শুরু হয় আদালত বয়কট। বিষয়টি এসিজেএম কুসুমিকা দে মিত্রর নজরে এনে আইনজীবীরা দাবি করেন, ওই আধিকারিককে বদলি না করা পর্যন্ত বয়কট চলবে। উল্টে এ দিন আদালতের বাইরে একটি নোটিস ঝুলিয়ে জানানো হয়, সাড়ে দশটার মধ্যে বিভিন্ন মামলার জামিনের আবেদন-সহ আদালত সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি জমা দিতে হবে। না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিকেলে জেলা জজ কুন্দনকুমার কুমাইয়ের কাছে চিঠি পাঠিয়ে আইনজীবীরা দাবি করেন, এসিজেএম আদালতের ভূমিকায় তাঁরা অপমানিত।
এ দিকে চার দিন ধরে জামিনের আবেদন, চেক বাউন্স, থানায় অভিযোগ গুরুত্ব না পাওয়ার মতো বেশ কিছু মামলা করতে না পেরে মুশকিলে পড়েছেন বিচারপ্রার্থীরা। এ দিন মন্তেশ্বরের মধ্যমগ্রাম পঞ্চায়েতের পারুলিয়া গ্রাম থেকে এসেছিলেন নিত্যানন্দ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘বেআইনি ভাবে মদ বিক্রির অভিযোগে ভাইকে ধরেছে পুলিশ। জামিনের আবেদনই করতে পারছি না। ৪৫ কিলোমিটার দূর থেকে এসেও ফিরে যেতে হচ্ছে।’’ বার এসোসিয়েশনের দুই সদস্য পার্থ কর এবং অনিরুদ্ধ মণ্ডল বলেন, ‘‘আইনজীবীদের হেনস্থার কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমরা অপমানিত। তাই মানুষের কিছুটা অসুবিধা হলেও বয়কট চলবে।’’