Saraswati PUJA 2024

সরস্বতী পুজোর আগে চড়া বাজার

ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, শশা, কুল, আপেল, মুসুম্বি, নারকেলের দাম গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। দাম বেড়েছে ফুলেরও। হলুদ গাঁদার মালা বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা দরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:২৯
Share:

কেনাকাটা। মঙ্গলবার দুর্গাপুরে সেন মার্কেটে। নিজস্ব চিত্র jayantamosan@gmail.com

ফুল থেকে ফল, আনাজ থেকে মাছ— সবেরই দাম চড়া। সরস্বতী পুজোর আগের দিন দুর্গাপুরের বিভিন্ন
বাজারে ঘুরে দেখা গেল, পুজোর বাজার করতে বেরিয়ে কার্যত নাভিশ্বাস ক্রেতাদের।

Advertisement

বুধবার সরস্বতী পুজো, পর দিন সিজানো ষষ্ঠী। এই দুইয়ের জন্য ফল ও আনাজ কেনাকাটা করতে মঙ্গলবার বেরিয়েছিলেন অনেকে। দুর্গাপুরের চণ্ডীদাস বাজার, বেনাচিতি বাজার, মামরা বাজারে ঘুরে দেখা গিয়েছে, অন্য দিনের তুলনায় ক্রেতার ভিড় অনেক বেশি।

ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, শশা, কুল, আপেল, মুসুম্বি, নারকেলের দাম গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। দাম বেড়েছে ফুলেরও। হলুদ গাঁদার মালা বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা দরে। তুলনায় বড় ফুলের লাল গাঁদার মালার দাম ছিল গড়ে ৪০ টাকা। চণ্ডীদাস বাজারে গাঁদার মালা কিনছিলেন ডিএসপি টাউনশিপের প্রেরণা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘বাড়িতে তিনটি গাঁদার মালা
কিনতে বলেছে। অন্য সময়ে ৬০ টাকায় হয়ে যায়। এখন দাম পড়ল দ্বিগুণ!’’ মালা বিক্রেতা বিধান দত্ত বলেন, ‘‘জোগানের তুলনায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম বেড়েছে।’’
ফলের দোকানে গিয়েও দামের
ছেঁকা খেতে হয়েছে ক্রেতাদের। কলা প্রতি ডজন ৮০ টাকা দরে বিক্রি
হয়েছে, যা অন্য সময় থাকে ৬০ টাকা। শসা দিন তিনেক আগে বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা কেজি দরে। মঙ্গলবার দাম ছিল ১৬০ টাকা কেজি। এ দিন আপেল বিক্রি হয় গড়ে ২২০-২৫০ টাকা
কেজি দরে, যা প্রায় গড়ে ৫০ টাকা বেশি, দাবি ক্রেতাদের। এক-একটি নারকেল বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকায়।

Advertisement

সরস্বতী পুজোর দিন সাধারণত স্কুল ও নানা ক্লাবে দুপুরে খিচুড়ি, তরকারি খাওয়ানোর রীতি রয়েছে। মাঝারি বাঁধাকপি ২০ টাকা দরে
বিক্রি হয়েছে এ দিন। একটু বড় হলে তার দাম ঠেকেছে ৩০ টাকা।
ক্রেতাদের দাবি, বড় আকারের বাঁধাকপি দিন দুয়েক আগে ২০ টাকা দাম ছিল। সরস্বতী পুজোর পর দিনে সন্তানের মঙ্গল কামনায় রাঢ়বঙ্গে অধিকাংশ পরিবারে অরন্ধন ষষ্ঠী পালন হয়। সরস্বতী পুজোর দিনে রান্না করে রাখা হয়। পর দিন তা খাওয়া হয়। এই উৎসবে মাছই
প্রধান অঙ্গ। মঙ্গলবার মাছের বাজারেও যেন আগুন লেগেছিল। দেড় কেজি ওজনের কাতলা বিক্রি হয়েছে ৩৫০ টাকা কেজি দরে। এক কেজির রুই বিক্রি হয়েছে ২৫০ টাকায়। যা অন্য দিনের তুলনায় গড়ে ৪০-৫০ টাকা বেশি।

বেনাচিতি বাজারের খুচরো মাছ ব্যবসায়ী বিনোদ কুন্ডু বলেন, ‘‘সিজানো ষষ্ঠীর জন্য মাছের চাহিদা হঠাৎ কয়েক গুণ বেড়ে যায়। কিন্তু জোগান প্রায় এক। তাই মাছের দাম তুলনায় বেড়ে যায়।’’ তাঁর দাবি, আজ, সরস্বতী পুজোর দিনেও মাছের বাজার আরও চড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement