গাছের ডাল ভেঙে আটকে রয়েছে বিদ্যুতের খুঁটিতে।—নিজস্ব চিত্র।
দাবদাহ থেকে ক্ষণিকের স্বস্তি মিললেও রবিবার সন্ধ্যার ঝড়ে ঘরহারা হলেন বহু মানুষ। এমনকী গাছ পড়ে খুঁটি উপড়ে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন ছিল কালনার বহু এলাকা। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জেলার অন্য অংশেও।
রবিবারের ঝড়ে কালনা শহরের প্রায় ১০টি ওয়ার্ডে বহু গাছ ভেঙে পড়ে। বেশির ভাগ গাছই বিদ্যুতের তারের উপর পড়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। কেবল, জেনারেটরের তারও বহু জায়গায় ছিঁড়ে গিয়েছে বলে বাসিন্দাদের দাবি। বাঘনাপাড়া স্টেশন এলাকায় রেল লাইনের উপর গাছ ভেঙে পড়ে পূর্ব রেলের কাটোয়া-ব্যন্ডেল শাখায় ঘণ্টা দেড়েক ট্রেন চলাচল বন্ধও ছিল। গাছপালা সরাতে গিয়ে এসটিকেকে রোডের যান চলাচল ব্যবস্থাও ব্যহত হয়। নিভুজিবাজার সংলগ্ন এসটিকেকে রোডের সামনে একটি বিশালাকার গাছ ভেঙে পড়ে রবিবার রাতে ঘণ্টা দুয়েক যান চলাচল বন্ধ থাকে। সোমবার বিকেল পর্যন্ত চলে গাছের ডাল কাটার কাজ। ঝড়ের আঘাতে কালনা ২ ব্লকের আনুখাল পঞ্চায়েতের বালিয়া গ্রামের কাঁকরেপাড় এলাকার ১৫টি বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। নষ্ট হয়েছে বহু জিনিসপত্রও।
বিদ্যুৎ দফতরের কালনা ডিভিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝড়ের আঘাতে প্রচুর খুঁটি উপড়ে গিয়েছে, বহু তার ছিঁড়েছে। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ধাত্রীগ্রাম, মালতিপুর, দিগরেডাঙা, নাগরগাছি-সহ বহু গ্রামে বিদ্যুৎ ফেরেনি বলেও স্থানীয়রা জানান। বিদ্যুৎ দফতরের কালনা শাখার ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়র চঞ্চল বিশ্বাস বলেন, ‘‘রবিবার রাত থেকে মেরামতির কাজ চলছে। এখনও পর্যন্ত আশি শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ ফেরানো সম্ভব হয়েছে।’’
ঝড়ে চাল উড়ে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খণ্ডঘোষের সাধন দাস বৈরাগ্যের আশ্রমও।