TMC-BJP: সুনীলের বিজেপি-যোগ উল্লেখ করে পোস্টার

মঙ্গলবার সকালে দেখা গেল, তাঁর বাড়ির সামনে কালো এবং লাল কালিতে হাতে লেখা পোস্টারগুলি সাঁটানো হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

কাঁকসা শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২১ ০৫:২৭
Share:

কাঁকসায়। নিজস্ব চিত্র।

পেগাসাস-কাণ্ড নিয়ে সোমবার দুপুরে দিল্লিতে তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে প্রতিবাদ-আন্দোলনে যোগ দেন বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডল। তিনি এ-ও দাবি করেন, ‘‘আমি তৃণমূলেই আছি!...তৃণমূলে ছিলাম, আছি এবং আগামী দিনেও থাকব।’’ এই মন্তব্যের পরে ওই রাতেই কাঁকসায় সুনীলবাবুর বাড়ির সামনে পোস্টার পড়ল। পোস্টারের তলায় লেখা, ‘টিএমসি’। পোস্টারে, সুনীলবাবুর বিজেপিতে ‘যোগ দেওয়ার’ প্রসঙ্গ ‘ভুলিনি, ভুলব না’ বলা হয়েছে।

Advertisement

এ দিনের ঘটনা প্রসঙ্গে খোদ সুনীলবাবু বলছেন, ‘‘আবার পোস্টার পড়েছে? আমি কিন্তু কাঁকসায় রাজনীতি করি না। আমার কাজের ক্ষেত্র, পূর্ব বর্ধমান। নিচুতলার দু’-এক জন কেউ হয়তো কোনও ক্ষোভ থেকে পোস্টার দিয়ে থাকতে পারেন।’’

মঙ্গলবার সকালে দেখা গেল, তাঁর বাড়ির সামনে কালো এবং লাল কালিতে হাতে লেখা পোস্টারগুলি সাঁটানো হয়েছে। তাতে সুনীলবাবুর বাড়িতে বসে শুভেন্দু অধিকারী, জিতেন্দ্র তিওয়ারিদের নিয়ে বৈঠকের কথা (‌পোস্টারের ভাষায়, ‘বিজেপিতে যোগদানের মাস্টারপ্ল্যান’) উল্লেখ করা হয়েছে। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে পোস্টারে। মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভায় গিয়ে বিজেপিতে ‘যোগ দেন’ সুনীলবাবু।

Advertisement

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক তৃণমূল কর্মী বলেন, ‘‘নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখতে কর্মীদের ফেলে তৃণমূল ছেড়ে সুনীল মণ্ডল বিজেপিতে গিয়েছিলেন। এখন দেখছেন, হাওয়া-বদল হয়েছে। তাই দলে আসতে চাইছেন। ওঁকে আমরা মানব না। এটা দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকেও জানানো হবে।’’

কাঁকসার তৃণমূল ব্লক সভাপতি দেবদাস বক্সীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘সুনীলবাবু ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে তৃণমূলে এসেছিলেন। তৃণমূল থেকে তিনি বিধায়ক ও পরে সাংসদ হন। বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল সম্পর্কে খারাপ কথা বলে বিজেপিতে যোগ দেন। এখন আবার তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন। দল যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে, তা সবাইকেই মানতে হবে।’’ তবে পোস্টার সম্পর্কে তাঁর তাৎপর্যপূর্ণ সংযোজন: ‘‘নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ থাকতেই পারে। দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়িত্ব সেই ক্ষোভ মেটানো।’’ বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য না করলেও বিজেপির আসানসোল জেলা আহ্বায়ক শিবরাম বর্মনের প্রতিক্রিয়া, ‘‘রাজনীতি করার প্রধান লক্ষ্য, মানুষের জন্য কাজ করা। কিন্তু কেউ-কেউ থাকেন, যাঁদের মূল লক্ষ্য, ক্ষমতার অলিন্দে থাকা।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement