সেই পোস্টার। নিজস্ব চিত্র
দিন কয়েকের ব্যবধানে ফের ‘কাটমানি’র অভিযোগ নিয়ে পোস্টার পড়ল কাটোয়া শহরে। বৃহস্পতিবার কাটোয়া পুরসভার নিচুবাজার এলাকায় তেমন একটি পোস্টার নজরে পড়ে বাসিন্দাদের। পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়া ছাড়াও এক তৃণমূল কর্মীর নামে বেআইনি নির্মাণ ও পুকুর বোজানোর অভিযোগ তোলা হয়েছে ওই পোস্টারে।
কে বা কারা শহরে বারবার এই ধরনের পোস্টার সাঁটাচ্ছে, সে নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে। তৃণমূলের একটি অংশের ধারণা, এর পিছনে দলেরই একটি অংশের মদত রয়েছে। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব বিষয়টি গুরুত্ব দিতে নারাজ। পুরপ্রধান তথা এলাকার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘দলে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। বিরোধীদের পক্ষ থেকে এই ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালেই পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নিচুবাজারে একটি দেওয়ালে ‘কাটমানি’র অভিযোগে পোস্টার দেখতে পান বাসিন্দারা। সাদা কাগজে কালো কালিতে ছাপানো ওই পোস্টারে কাটমানি কবে বন্ধ হবে, সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আরও অভিযোগ, শহরে বিনা পরিকল্পনায় বাড়ি তৈরি হচ্ছে। এক তৃণমূল কর্মীর নাম উল্লেখ করে তাঁর বিরুদ্ধে পুকুর বোজানোর অভিযোগ করা হয়েছে। পোস্টারের নীচে লেখা রয়েছে ‘জয় হিন্দ, সোনার বাংলা’।
কয়েক দিন আগেই শহরের সিদ্ধেশ্বরীতলায় একই ধরনের পোস্টার পড়েছিল। সেখানে পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় ছাড়া, সাংসদ সুনীল মণ্ডল ও তৃণমূল নেতা অমর রামের নাম ছিল। এ দিনের পোস্টারে অবশ্য শুধুমাত্র পুরপ্রধানের নামে অভিযোগ তোলা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ ও শহরের কিছু তৃণমূল কর্মীর দাবি, কাটোয়ায় দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে পরিকল্পিত ভাবেই এই রকম পোস্টার সাঁটানো হচ্ছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
রবীন্দ্রনাথবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘এই সব অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই। বিষয়টি আমরা একেবারেই গুরুত্ব দিচ্ছি না।’’