ECL Colliery

ঘুষ ছাড়া কাজ হয় না, পোস্টারে নালিশ কোলিয়ারিতে

সোমবার দুপুরে কার্যালয়ের চারপাশ ও লাগোয়া এলাকায় আরএসপি অনুমোদিত ইউনাইটেড ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের (ইউটিইউসি) তরফে ওই পোস্টার সাঁটানো হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

অন্ডাল শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:২৭
Share:

বহুলায় পোস্টার। নিজস্ব চিত্র Stock Photographer

টাকা না দিলে কোনও বিভাগে পরিষেবা পান না কর্মীরা, এমন অভিযোগে পোস্টার পড়ল ইসিএলের কেন্দা এরিয়ার বহুলা কোলিয়ারি কার্যালয় চত্বরে। আরএসপি প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠনের নামে দেওয়া ওই পোস্টারে দাবি করা হয়েছে, এর জন্য দায়ী কোলিয়ারির এজেন্ট। অভিযোগকে সমর্থন জানিয়েছেন সিটু এবং এআইইউসি নেতৃত্বও।

Advertisement

সোমবার দুপুরে কার্যালয়ের চারপাশ ও লাগোয়া এলাকায় আরএসপি অনুমোদিত ইউনাইটেড ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের (ইউটিইউসি) তরফে ওই পোস্টার সাঁটানো হয়। তাতে লেখা রয়েছে, পার্সোনেল, অ্যাকাউন্টস এবং পিএফ বিভাগে উৎকোচ না দিলে সোমবার দুপুরে কার্যালয়ের চারপাশ ও লাগোয়া এলাকায় আরএসপি অনুমোদিত ইউনাইটেড ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের (ইউটিইউসি) তরফে ওই পোস্টার সাঁটানো হয়। তাতে লেখা রয়েছে, পার্সোনেল, অ্যাকাউন্টস এবং পিএফ বিভাগে উৎকোচ না দিলে কর্মীদের কোনও কাজ করা হয় না। কর্মী আবাসন বণ্টনে দুর্নীতি চলছে বলেও অভিযোগ। এর জন্য কোলিয়ারির এজেন্ট দায়ী বলে দাবি করা হয়েছে। সংগঠনের ইসিএল শাখার সাধারণ সম্পাদক যমুনা পাসোয়ানের কথায়, ‘‘প্রতিটি বিভাগে টাকার বিনিময়ে কাজ করা হচ্ছে। টাকা না দিলে কোলিয়ারির পিএফ বিভাগ থেকে আসানসোলে কোল মাইনস পিএফ দফতরে নথিপত্র পাঠানো হচ্ছে না। রবিবার কাজ করলে দ্বিগুণ টাকা পাওয়া যায়। সেই কাজ পেতে গিয়েও উৎকোচ দিতে হচ্ছে। কর্মী আবাসন বণ্টনে দুর্নীতি চলছে।’’

যমুনা জানান, সংস্থার আইন অনুযায়ী, অবসর নেওয়ার পরে আবাসন না ছাড়লে গ্র্যাচুইটির টাকা পাওয়া যাবে না। অথচ, অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে গ্র্যাচুইটির টাকা মিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর পরে ওই আবাসনেই থাকছে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর পরিবার। পার্সোনেল বিভাগ এ বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ। অ্যাকাউন্টস বিভাগে ঘুষ না দিলে অনেক কাজ আটকে যাচ্ছে। এ সব জানার পরেও এজেন্ট কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে দাবি।

Advertisement

সিটুর কেন্দা এরিয়া সম্পাদক মানবেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ইউটিইউসি-র তরফে যে সব দাবি করা হয়েছে, তা যথার্থ। এ সব ছাড়াও কোলিয়ারির যানবাহনের জন্য বরাদ্দ ডিজেল ও ডিপো থেকে প্রকাশ্যে কয়লা চুরিও হচ্ছে। তাঁরা এ সবের বিরুদ্ধে ২০ সেপ্টেম্বর কোলিয়ারি কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখাবেন, দাবি তাঁর। এআইটিউসি অনুমোদিত কোলিয়ারি মজদুর সভার সাধারণ সম্পাদক গুরুদাস চক্রবর্তীর দাবি, এই অভিযোগ ইসিএল কর্তৃপক্ষের গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা উচিত।

কোলিয়ারির এজেন্ট সুবিমল আচার্য মঙ্গলবার বলেন‌‌, ‘‘ব্যক্তিগত কাজে রাজ্যের বাইরে আছি। পোস্টার না দেখে কোনও মন্তব্য করব না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement