ধর্মঘটে ডাকঘর বন্ধ, ভোগান্তি

বেশ কিছুক্ষণ বাসে চড়ে নিজের মাসিক সঞ্চয় প্রকল্পের (এমআইএস) টাকা তুলতে ডাকঘরে এসেছিলেন এক প্রবীণ। এসে দেখলেন, ডাকঘর বন্ধ। বুঝলেন, অপেক্ষা করাই সার। টাকা মিলবে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৭ ০২:০৮
Share:

হতাশ: দুর্গাপুরে ডাকঘরে তালা, দেখছেন বৃদ্ধ গ্রাহক। —নিজস্ব চিত্র।

বেশ কিছুক্ষণ বাসে চড়ে নিজের মাসিক সঞ্চয় প্রকল্পের (এমআইএস) টাকা তুলতে ডাকঘরে এসেছিলেন এক প্রবীণ। এসে দেখলেন, ডাকঘর বন্ধ। বুঝলেন, অপেক্ষা করাই সার। টাকা মিলবে না। কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চের ডাকা বৃহস্পতিবারের ধর্মঘটে এ ভাবেই মুখে পড়লেন গ্রাহকেরা।

Advertisement

এ দিনে সিটি সেন্টারের একটি ডাকঘরে এমআইএসের টাকা তুলতে এসেছিলেন করুণাময়ী মণ্ডল নামে এক বৃদ্ধা। টাকা না পেয়ে তাঁর ক্ষোভ, ‘‘শুধু-শুধু ঝক্কি হল। ফের আসতে হবে।’’ পাশে থেকে আরও এক প্রবীণ জানান, তাঁর ছেলে-মেয়ে বাইরে থাকে। এ দিন টাকা না তুলতে পারায় সংসার চালাতে সমস্যা হবে। গ্রাহকদের একাংশের দাবি, শহরের কোনও ডাকঘরেই এ দিন কাজ হয়নি। বিধাননগরের বাসিন্দা শ্যামল আচার্য বলেন, ‘‘আগেভাগে ধর্মঘটের খবর পাইনি। একটা দিন নষ্ট হল।’’

সপ্তম বেতন কমিশনে শ্রমিক কর্মচারীদের প্রতি বঞ্চনা, প্রতিশ্রুতি না রক্ষা করা-সহ বিভিন্ন অভিযোগে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতরে বৃহস্পতিবার এক দিনের ধর্মঘটের ডাক দেয় সংগঠনগুলি।

Advertisement

একটি শ্রমিক সংগঠনের দুর্গাপুর শাখার নেতা উদয় ঘোষ বলেন, ‘‘বিভিন্ন কেন্দ্রীয় দফতরে বেসরকারিকরণ ও আউটসোর্সিং করা হচ্ছে। নতুন পেনশন আইন বাতিল, ন্যূনতম বেতন ২৬ হাজার টাকা করা-সহ নানা দাবিতে এ দিনের ধর্মঘট।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement