National Highway

জাতীয় সড়কে কমছে গতি, ক্ষুব্ধ চালকেরা

২ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচলের গতি হওয়া উচিত প্রতি ঘণ্টায় ন্যূনতম ৭০ কিলোমিটার। কিন্তু অভিযোগ, রাস্তার ওই অংশে গতি থাকছে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৫০ কিলোমিটার। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ চালকেরা।

Advertisement

সুশান্ত বণিক

আসানসোল শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২০ ০৩:৪৭
Share:

২ নম্বর জাতীয় সড়কের ডুবুরডিহিতে। নিজস্ব চিত্র

নানা কারণে ২ নআসানসোলম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচলের গতি কমে গিয়েছে, এমনই অভিযোগ দূরপাল্লার বিভিন্ন গাড়ির চালকদের। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁরা সমস্যা সমাধানের আর্জি জানিয়েছেন। সড়ক কর্তৃপক্ষ জানান, গতি কমার বেশ কিছু কারণ সামনে এসেছে। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসনও সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে বলে দাবি।

Advertisement

সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রেও জানা গিয়েছে, মূলত বাঁশকোপা টোলপ্লাজা থেকে ডুবুরডিহি পর্যন্ত প্রায় ৬৭ কিলোমিটার এলাকায় জাতীয় সড়কে যানবাহনের গতি অনেকটাই কমে গিয়েছে। তাঁরা জানান, ২ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচলের গতি হওয়া উচিত প্রতি ঘণ্টায় ন্যূনতম ৭০ কিলোমিটার। কিন্তু অভিযোগ, রাস্তার ওই অংশে গতি থাকছে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৫০ কিলোমিটার। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ চালকেরা। আসানসোল থেকে কলকাতা বাস পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত একটি বেসরকারি পরিবহণ সংস্থার চালক প্রদীপ দাস বলেন, ‘‘রাস্তার অবস্থার জন্য প্রায় কোনও দিনই ঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারছি না। এর ফলে, যাত্রীরা বিরক্ত হচ্ছেন।’’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের কলকাতাগামী এক বাস চালক বলেন, ‘‘সড়কের কয়েক কিলোমিটার পরপরই গার্ড-রেল বসানোয় ও অজস্র খন্দের ফলে গতি তোলা যাচ্ছে না।’চিন্তা সড়কে

চিন্তা সড়কে

Advertisement

গতি হওয়া উচিত: ৭০ কিলোমিটার/ ঘণ্টা
এই মুহূর্তে গতি: ৪৫-৫০ কিলোমিটার/ ঘণ্টা

কারণ যেগুলি— রাস্তায় গার্ড-রেল , রাস্তায় খন্দ , জমি-জট

বিষয়টি প্রসঙ্গে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের প্রজেক্ট ডিরেক্টর মলয় দত্ত জানান, তাঁরা অনুসন্ধান করে দেখেছেন, রাস্তার মাঝে গার্ড-রেল বসানো, খন্দের পাশাপাশি, কিছু এলাকায় জমির অভাবে সার্ভিস রোড তৈরি করতে না পারা, রাস্তা চওড়া না করতে পারা, সেতুর উপরে যান চলাচল শুরু না হওয়ায় যানবাহনের গতি কমছে। বিষয়টির উদাহরণ দিয়ে মলয়বাবু জানান, কালীপাহাড়িতে এক দিকের সেতু এখনও নির্মাণ হয়নি। কুলটির চৌরঙ্গিতে সেতু তৈরি হয়ে যাওয়ার পরেও, তা চালু করা যায়নি। দুর্গাপুরের রাজবাঁধ ও আসানসোলের জুবিলিতে জাতীয় সড়কের পাশে গ্যাসের পাইপলাইন থাকায় রাস্তা চওড়া করার জন্য পর্যাপ্ত জমি মিলছে না। ফলে, ওই এলাকায় রাস্তা সঙ্কীর্ণ। গাড়ির গতি কমে যাচ্ছে। কাল্লামোড়, চাঁদা রানিসায়র, টপলাইন, কাদা রোড, নিঘা এলাকায় সার্ভিস রোড তৈরি না হওয়ায় দু’প্রান্তের মানুষজনকে সড়ক পারাপার করে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে। তাই, দুর্ঘটনা আটকাতে রাস্তার মাঝে গার্ড-রেল বসিয়ে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে। মলয়বাবু বলেন, ‘‘আমরা জমির সমস্যা-সহ অন্য বিষয়গুলি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছি। আশা করছি, দ্রুত সমস্যা মিটবে।’’

জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, জমির সমস্যা সংক্রান্ত বিষয় পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের অধীনে রয়েছে। সেখানের অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) শশীকুমার চৌধুরী বলেন, ‘‘জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’ এ দিকে, জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘‘মূল সড়ক-সহ সার্ভিস রোডগুলির মেরামতি করার জন্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাকি সমস্যাগুলি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement