কাটোয়ায় বিক্রি হচ্ছে কেক। ছবি: অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়.
লকডাউনের সময় থেকে নানা ব্যবসায় মন্দার অভিযোগ উঠেছে। বড়দিনের আগে কেকের বাজারও খারাপ বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। বর্ধমানের কেক প্রস্তুতকারক থেকে ব্যবসায়ী, সকলেই জানাচ্ছেন, শহর ও লাগোয়া গ্রামীণ এলাকা থেকে বরাত কম থাকায় এ বার কম কেক মজুত করছেন।
বর্ধমান শহরের ভাতছালা এলাকায় কেক তৈরির কারখানা থেকে প্রতি বছর মেমারি, গুসকরা ও জেলার দক্ষিণ দামোদর এলাকা থেকে খুচরো বা পাইকারি ব্যবসায়ীদের অনেকে কেক নিয়ে যান। কারখানার মালিক সানি তরফদারের দাবি, গত বছরের থেকে ৪০ শতাংশ কেক তাঁরা কম তৈরি করছেন। কারণ, অনেক ব্যবসায়ীই অন্য বছরের তুলনায় কম কেকের বরাত দিচ্ছেন।
শহরের তেঁতুলতলা বাজারের কেক ব্যবসায়ী আতাহার হোসেন জানান, তাঁদের দোকানে ৫০-৫০০ টাকা দামের কেক রয়েছে। তবে গত বছরের থেকে এ বার কেক কম মজুত করেছেন বলে দাবি তাঁর। বিসি রোডের রাজু পাসোয়ান, ভেড়িখানার আফতাব আলমদের মতো খুচরো ব্যবাসায়ীরা জানান, বড়দিনের কয়েকদিন আগে থেকেই কেকের বরাত দেওয়া বা টুকটাক বিক্রি শুরু হয়। কিন্তু এ বার সে রকম চাহিদা নেই। বড়দিন ও তার আগের দিনে কিছুটা বিক্রিবাটার আশায় রয়েছেন বলে জানান তাঁরা।
কেক ব্যবসায়ীদের দাবি, করোনা-পরিস্থিতিতে গত কয়েকমাসে ব্যবসা মার খেয়েছে। হাতে পুঁজির অবস্থা ভাল নয়। ক্রেতাদেরও অনেকের আয়ে টান পড়েছে। তাই বিক্রি কতটা হবে, সে নিয়েও সংশয় থাকছে। তাই ঝুঁকি নিয়ে বেশি কেক মজুত করার রাস্তায় এ বার হাঁটেননি তাঁরা।
বর্ধমানের কালীবাজারের বাসিন্দা সত্যরঞ্জন দাস, মানিক মণ্ডলেরা জানান, অন্য বছর বড়দিনের অনেক আগে থেকেই কেক কেনা শুরু করলেও এ বার এখনও তা করেননি। কেনার পরিবর্তে বাড়িতে কেক তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছেন বলেও জানান ক্রেতাদের অনেকে। শহরের বাসিন্দা অর্পিতা মাড্ডি, সালমা সুলতানা, মৌমিতা সিংহদের কথায়, ‘‘বাড়িতে বাচ্চা রয়েছে। করোনা-পরিস্থিতিতে দোকানে গিয়ে কেক কেনার থেকে বাড়িতেই তৈরি করব বলে ঠিক করেছি।’’