ক্যানসার আক্রান্ত ছাত্রের পাশে পুলিশ

আর পাঁচটা ছেলের মতো সে-ও স্কুলে যেত। কিন্তু এক দিন আচমকা বিপত্তি। মাথা ঘুরে বাড়িতেই পড়ে যায় দশম শ্রেণির ওই পড়ুয়া। তার পরে জানা যায়, সে ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত। ছাত্রের পরিবারের অবস্থার কথা চিন্তা করে উদ্যোগী হন শিক্ষকেরা। এগিয়ে আসেন অন্য এক জনও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ভাতার শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০১৮ ০১:৩৪
Share:

সৌম্যদীপ রায়। নিজস্ব চিত্র

আর পাঁচটা ছেলের মতো সে-ও স্কুলে যেত। কিন্তু এক দিন আচমকা বিপত্তি। মাথা ঘুরে বাড়িতেই পড়ে যায় দশম শ্রেণির ওই পড়ুয়া। তার পরে জানা যায়, সে ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত। ছাত্রের পরিবারের অবস্থার কথা চিন্তা করে উদ্যোগী হন শিক্ষকেরা। এগিয়ে আসেন অন্য এক জনও। সাহায্যের জন্য আর্জি জানানো হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই আর্জিতে সাড়া দিয়ে শনিবা ভাতার থানা পড়ুয়ার বাড়ি গিয়ে আর্থিক সাহায্য করল।

Advertisement

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাতারের নসিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র সৌম্যদীপ রায়। মাস খানেক আগে মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার পরে সৌম্যদীপকে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমানের এক চিকিৎসকের কাছে। তিনি জানান, সম্ভবত ক্যানসারে আক্রান্ত সৌম্যদীপ। এর পরে মুম্বইয়ে টাটা মেমোরিয়াল ক্যানসার হাসপাতালে গিয়ে জানা যায়, সৌম্যদীপ ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত।

পড়ুয়ার দাদু জিতেন রায় জানান, নাতির চিকিৎসার জন্য অন্তত ৪০ লক্ষ টাকা দরকার বলে মুম্বইয়ের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। পড়ুয়ার বাবা স্থানীয় একটি চিঁড়ে কলের কর্মী। বাড়িতে সদস্য সংখ্যা পাঁচ জন। তা ছাড়া মুম্বইতে বাড়িভাড়া নিয়ে থাকতে হচ্ছে সৌম্যদীপের বাবা সুব্রত রায় ও মা সুলতা রায়কে। এই পরিস্থিতিতে ওই পড়ুয়ার জন্য চিকিৎসার খরচ জোগাড় করাটা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয় বলেই জানান জিতেনবাবু। এই পরিস্থিতিতে ছাত্রকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন স্কুলের শিক্ষকেরা এবং‌ সৌম্যদীপের কাকার বন্ধু বিলাস সামন্ত। তাঁরা ঠিক করেন, সাহায্যের আর্জি জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চালানো হবে। স্কুলের শিক্ষক সৌমিত্র রায় বলেন, ‘‘নবম থেকে দশম শ্রেণিতে ওঠার পরীক্ষায় খুবই ভাল ফল করেছিল সৌম্যদীপ। ওর মতো সম্ভাবনাময় ছেলেকে আমরা কিছুতেই হারিয়ে যেতে দেব না।’’

Advertisement

এর পরেই সাড়া মেলে পুলিশের তরফে। বিষয়টি নিয়ে ভাতার থানার অফিসার ইন চার্জ পুলক মণ্ডল বলেন, ‘‘এলাকায় এবং সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিষয়টি জানতে পারি। পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবালের প্রেরণাতেই আমরা সামান্য সহযোগিতা করেছি।’’ সৌম্যদীপের বন্ধু থেকে পুলিশকর্মী, সকলেরই এখন একটাই কামনা, সৌম্যদীপ যেন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement