GAIL Gas Pipelines Work

বাবলা ‘কাঁটা’ সরাতে পুলিশ-শিবিরের ভাবনা

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েক দিন আগে পাইপ বসানোর কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে এক জন জমির মালিককে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:৪০
Share:

অনিচ্ছুক জমিদাতাদের কাজে বাধায় এখানেই থমকে কাজ। গলসিতে। ছবি: কাজল মির্জা

গ্যাসের পাইপ বসানোর কাজে বাবলা ‘কাঁটা’ বার করতে এ বার ‘পুলিশ-শিবির’ করা হবে। পরীক্ষা-পর্ব মিটলে সেই কাজ শুরু হবে বলে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

পানাগড় থেকে হুগলির রাজারামবাটি হয়ে নদিয়ার গয়েশপুর পর্যন্ত প্রাকৃতিক গ্যাসের পাইপলাইন বসানোর কাজ করছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা গেল। ১৩৩ কিলোমিটার এই রাস্তায় কাজ আটকে রয়েছে মাত্র ৩০০ মিটারে। গেলের দাবি, পূর্ব বর্ধমানের গলসির বাবলা গ্রামের পিচ রাস্তার ধারে ওই অংশের পাঁচ থেকে ছ’জন জমির মালিক জমি ব্যবহারের অনুমতি বা ‘রাইট অব ইউজ়’ দিচ্ছেন না। ওই অংশে কাজ শুরুর জন্য তাদের তরফে জেলা প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, গেলের কর্তারা জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে দেখা করে জানান, বিক্রয় মূল্যের চেয়েও, সরকারি দামে জমি ব্যবহার করার অনুমতির মূল্য তুলনামূলক বেশি। অভিযোগ, তার পরেও অত্যধিক দাম চেয়ে প্রকল্পের কাজ আটকে দিয়েছেন কয়েক জন জমি মালিক। এই সমস্যা মেটাতে মহকুমা প্রশাসন ও গলসি থানা ‘অনিচ্ছুক’ চাষিদের নিয়ে বৈঠক করে। গেলের দাবি, এর পরে কয়েক জন জমির মালিক তাঁদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। কিন্তু এখনও কয়েক জন অনড় রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েক দিন আগে পাইপ বসানোর কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে এক জন জমির মালিককে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। অনিচ্ছুক জমি মালিকদের দাবি, স্থানীয় ভাবে যে টাকায় জমি বিক্রি হচ্ছে, সেই টাকাও তাঁরা ক্ষতিপূরণ হিসাবে পাচ্ছেন না। গলসি গ্রামের প্রধান কমল রুইদাস বলেন, “বার বার আলোচনা করা হচ্ছে। কিন্তু রফাসূত্র মিলছে না।”

Advertisement

বাবলা গ্রামে দেখা গিয়েছে, গলসি-আউশগ্রামের রাস্তার ধারে পাইপ পড়ে রয়েছে। এক কিলোমিটার জুড়ে পাইপ বসানোর কাজ বন্ধ। কিছু জায়গায় মাটি খোঁড়া রয়েছে। জমিদাতাদের একাংশের দাবি, ‘অনিচ্ছুকেরা’ জট পাকানোর জন্যই সরকারের এত বড় প্রকল্পের কাজ আটকে রেখেছেন। এ ভাবে মাটি খুঁড়ে পড়ে থাকায় চাষের জমিতে যাতায়াতে অসুবিধা হচ্ছে।

মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জেলায় ১,৪৫০ মিটার জমির ব্যবহারের অনুমতি পেতে সমস্যা ছিল। বর্তমানে ৩০০ মিটারে জট রয়েছে। প্রশাসনের দাবি, মালিকেরা সরকারি দাম মেনে জমি ব্যবহারের অনুমতি দেননি। আবার জমির দাম বাড়ানোর জন্য আদালতে মামলাও করেননি। মহকুমাশাসক (বর্ধমান উত্তর) তীর্থঙ্কর বিশ্বাস বলেন, “ছ’জন চাষি জমি ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছেন না। সরকারি ভাবে জমি ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে সব রকম নোটিস পাঠানোর কাজ শেষ। পরীক্ষা-পর্ব মিটলেই, পুলিশ-শিবির করে ওই জমি নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।”

গেলের দাবি, ওই জমি পেয়ে গেলেই মার্চের মধ্যে গ্যাস সরবরাহের কাজ শুরু করে দিতে পারবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement