Durgapur

শহরে ব্যারিকেড দিয়ে ভিড় সামলানো শুরু

ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্ত বলেন, ‘‘মানুষ যাতে ঠিক ভাবে লকডাউন মানেন, সে জন্য দরকারে ভিড় হতে পারে এমন জায়গায় ব্যারিকেড দিয়ে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২০ ০৩:৪০
Share:

দুর্গাপুর স্টেশন বাজার এলাকায় পুলিশের ব্যারিকেড। ছবি: বিকাশ মশান

বিশেষজ্ঞ থেকে পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা, সবাই বারবার করোনা-সতর্কতায় ‘লকডাউন’-এর গুরুত্বের কথা বলছেন। কিন্তু তার পরেও দুর্গাপুর-সহ জেলার নানা প্রান্তে ‘লকডাউন-বিধি’ লঙ্ঘনের ঘটনা বারবার সামনে আসছে। এই পরিস্থিতিতে দুর্গাপুরের নানা এলাকায় প্রয়োজনে ব্যারিকেড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট।

Advertisement

ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্ত বলেন, ‘‘মানুষ যাতে ঠিক ভাবে লকডাউন মানেন, সে জন্য দরকারে ভিড় হতে পারে এমন জায়গায় ব্যারিকেড দিয়ে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’’

লকডাউন না মানার ঘটনা রাজ্যের অন্য জায়গার মতো দুর্গাপুরেও ঘটে চলেছে। পুলিশ-প্রশাসন প্রথম দিকে জন-সচেতনতা তৈরির পথ নিয়েছিল। পরে বেনাচিতি বাজার-সহ কিছু এলাকায় পুলিশকে লাঠি উঁচিয়ে ভিড় সরাতে দেখা যায়। বিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগে গ্রেফতারও করা হয়েছে।

Advertisement

বাজারের ভিড় কমাতে বাজার ভাগ করে ফাঁকা মাঠে সরানো হয়েছে। অসচেতন ক্রেতাদের হাত থেকে বাঁচতে কয়েক দিনের জন্য সেন মার্কেট বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন ব্যবসায়ীরা। বেনাচিতি বাজারের মাছ বাজারও সম্প্রতি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আপাতত ৩ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কারণ, হিসেবে যদিও তাঁরা জানিয়েছেন, মাছের পর্যাপ্ত জোগান নেই। যদিও বাজারের অন্য সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘিঞ্জি ওই পাইকারি বাজারে দুর্গাপুর ছাড়াও অণ্ডাল, পাণ্ডবেশ্বর, রানিগঞ্জ থেকে খুচরো মাছ ব্যবসায়ীরা ভোর থেকে ভিড় জমাতেন। বিক্রেতাদের অনেকের অভিযোগে, ক্রেতাদের অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি ও নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতেন না।

নানা ব্যবস্থা নেওয়ার পরেও লকডাউন-বিধি সার্বিক ভাবে মানা হচ্ছে, এমনটা দেখা যায়নি বলে অভিজ্ঞতা নানা এলাকায় কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের একাংশের। এই পরিস্থিতিতে এ বার বাজারের মতো জায়গা, যেখানে বহু মানুষের সমাগম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেখানে ঢোকার রাস্তাগুলিতে ব্যারিকেড বসানো হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এর ফলে কী সুবিধা হবে? পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভিড় হতে পারে, বাজার-সহ এমন জায়গার বেশ কিছুটা আগে ব্যারিকেড থাকবে। সেখানে যানবাহন রেখে পায়ে হেঁটে বাজারে ঢুকবেন মানুষজন। এক সঙ্গে অনেককে ঢুকতে দেওয়া হবে না। নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকবেন পুলিশকর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ারেরা।

ইতিমধ্যেই দুর্গাপুরের কোকআভেন থানা এলাকার বাজারগুলিতে ব্যারিকেড বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দুর্গাপুর স্টেশন বাজারে ঢোকার রাস্তাগুলিতে ব্যারিকেড বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। এসবি মোড় থেকে বাজারে ঢোকার রাস্তায়, পশ্চিম রেলগেট দিয়ে ঢোকার রাস্তায় ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। চলছে পুলিশি নজরদারিও।

কমিশনারেটের কর্তাদের হুঁশিয়ারি, ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা হলে, কড়া পদক্ষেপ করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement