Ferry Services

লাইফ জ্যাকেট নেই, অভিযোগ রণডিহায়

এই ফেরিঘাটের এক দিকে রয়েছে বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার রাধামোহনপুর, ফকিরডাঙা, রাঙামাটির মতো বেশ কয়েকটি গ্রাম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বুদবুদ শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২০ ০০:১০
Share:

দামোদরে এ ভাবেই চলে যাতায়াত। নিজস্ব চিত্র

গলসি ১ ব্লকের বুদবুদের রণডিহা ফেরিঘাটটি পূর্ব বর্ধমান ও বাঁকুড়া জেলার মানুষের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অথচ, দামোদর নদের এই ফেরিঘাটের পরিকাঠামো বলতে কিছু নেই বলে জানিয়েছেন দুই পারের বাসিন্দারা। ফেরিযাত্রীরা জানান, বর্ষাকালে সমস্যা সব থেকে বেশি হয়। ফেরিঘাটের পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য প্রশাসনের কাছে বারবার আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। গলসি ১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি অনুপ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য জানিয়েছেন, এই ফেরিঘাটের উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

এই ফেরিঘাটের এক দিকে রয়েছে বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার রাধামোহনপুর, ফকিরডাঙা, রাঙামাটির মতো বেশ কয়েকটি গ্রাম। প্রতিদিন বর্ধমানের দিক থেকে বহু মানুষ নানা কাজে দামোদর নদ পেরিয়ে ওই সব এলাকায় যান। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই পথে বাঁকুড়ার ওই সব জায়গায় খুব সহজেই পৌঁছনো যায়। ঘুরপথে যেতে হলে দুর্গাপুর হয়ে প্রায় ৫০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে যেতে হয় তাঁদের। কিন্তু ফেরিঘাট দিয়ে ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার গেলেই গন্তব্যে পৌঁছনো যায় বলে দাবি তাঁদের। প্রতিদিন রণডিহার ফেরিঘাট থেকে একটি নৌকা চলে। নিত্যযাত্রীরা জানিয়েছেন, ভোর থেকেই নৌকায় পারাপার শুরু হয়ে যায়। অথচ, ফেরিঘাটে যাত্রীদের বসার কোনও জায়গা নেই। কাজেই বর্ষার দিনে খুবই সমস্যায় পড়তে হয় তাঁদের।

প্রতিদিন বুদবুদের শালডাঙা থেকে সোনামুখীর বলরামপুরে শিক্ষকতা করতে যান বলরাম পাল। তিনি বলেন, ‘‘এখানে একটি প্রতীক্ষালয়ও নেই। নদের জল বেড়ে গেলে ফেরিঘাট জলের তলায় চলে যায়। ফলে, খুবই সমস্যায় পড়তে হয়।’’ সোনামুখীর দিক থেকে অনেকে আনাজ, দুধ নিয়ে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করতে যান অনেকে। তেমনই এক জন সুনীল ঘোষ বলেন, ‘‘সব সময় নৌকা মেলে না। বাঁকুড়ার দিকে কোনও স্থায়ী ফেরিঘাট নেই। জল বেড়ে গেলে ঘুরপথে যাতায়াত করতে হয়।’’

Advertisement

এলাকার বাসিন্দা অরূপ জানা, স্বরূপ মণ্ডলরা বলেন, ‘‘শুনেছি, রণডিহা এলাকাটি উন্নয়নের বিষয়ে পদক্ষেপ করছে পঞ্চায়েত সমিতি। এলাকার সৌন্দর্যায়নের পাশাপাশি, ফেরিঘাটেরও উন্নয়নের দরকার। তা হলে বহু মানুষের উপকার হবে।’’ আবার নিত্যযাত্রীদের একাংশ অভিযোগ করেছেন, এখানে নৌকায় পারাপার করা হলেও, কোনও ‘লাইফ জ্যাকেট’ দেওয়া হয় না যাত্রীদের। যে কোনও দিন বিপদ ঘটে যেতে পারে বলে আশঙ্কা যাত্রীদের একাংশের। গলসি ১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি অনুপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ফেরিঘাটের দ্রুত হাল ফেরানো হবে। পাশাপাশি, নৌকায় পারাপারের সময়ে যাতে লাইফ জ্যাকেট অবশ্যই ব্যবহার করা হয়, সে দিকেও নজর দেওয়া হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement