প্রতীকী ছবি
ভোট কবে হবে। ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে শহরবাসীর মুখোমুখি হয়ে এমনই প্রশ্নের সম্মুখীন হলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। শনিবার গুসকরা পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় যুব তৃণমূল ওই কর্মসূচিটি নিয়েছিল। সেখানে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের শহর সভাপতি (গুসকরা) কুশল মুখোপাধ্যায়ও।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কর্মসূচির শুরুতেই স্থানীয় বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল, মণিকা মেটেরা অভিযোগ করেন, ‘‘এক বছরেরও বেশি সময় পুরসভায় বোর্ড না থাকায় পরিষেবা মিলছে না। কবে ফের ভোট হবে?’’ তাঁদের অভিযোগ, পথবাতি বিকল হয়ে গিয়েছে। নর্দমা সাফাই ঠিক মতো না হওয়ায় এলাকায় মশার উপদ্রব বাড়ছে। রয়েছে পানীয় জলের সমস্যাও। এলাকাবাসীর একাংশের দাবি, যে কোনও নাগরিক সমস্যার বিষয়ে অভিযোগ জানাতে ছুটতে হচ্ছে পুরসভায়। নির্বাচিত কাউন্সিলর থাকলে এমনটা দরকার ছিল না।
ঘটনাচক্রে, রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ২০১৮-র পরে থেকে প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিভিন্ন পুরসভায় ভোটের দিন জানতে চেয়ে একাধিকবার সরকারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ৪ নভেম্বর, ২০১৮ থেকে প্রশাসক রয়েছেন গুসকরা পুরসভাতেও। তা ছাড়া, ২০১৮ ও ২০২০ মিলিয়ে রাজ্যের মোট ১১০টি পুরসভায় নির্বাচিত পুরবোর্ডে মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার কথা। এই পরিস্থিতিতে একই সঙ্গে সবগুলি পুরসভায় ভোট হবে, না কি আলাদা ভাবে ভোট হবে, সে বিষয়ে রাজ্য রাজনীতিতেও এই মুহূর্তে জল্পনা রয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবি প্রসঙ্গে কুশলবাবু বলেন, ‘‘১, ৮, ৯, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে কর্মসূচি চলার সময়ে নাগরিকেরা পুরসভা নির্বাচন কবে হবে, তা জানতে চেয়েছেন। বিষয়টি দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানানো হবে। নাগরিক পরিষেবা সংক্রান্ত অভিযোগগুলি পুরসভায় জানানো হবে।’’ পুরসভার বিদায়ী পুরপ্রধান বুর্ধেন্দু রায়েরও দাবি, ‘‘বিষয়টি নিয়ে নেতৃত্ব ওয়াকিবহাল। আশা করি, কয়েক মাসের মধ্যেই ভোট হবে।’’