বাদুড়ে খাওয়া ফল প্রসাদ, প্রচারের আশ্বাস প্রশাসনের

নিপা ভাইরাসের অন্যতম বাহক হিসাবে বাদুড়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে দেশ জুড়ে। তার মাঝেই অন্য ছবি আউশগ্রামের সর গ্রামে। এ গ্রামের কাছে বাদুড় পীরের প্রতিনিধি। বাদুড়ে ঠোকরানো ফলও নিশ্চিন্তে খান তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বহু দিন ধরেই এমন অভ্যেস চলছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আউশগ্রাম শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০১৮ ০২:২২
Share:

আউশগ্রামের সর গ্রামে গাছে ঝুলছে বাদুড়। নিজস্ব চিত্র

নিপা ভাইরাসের অন্যতম বাহক হিসাবে বাদুড়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে দেশ জুড়ে। তার মাঝেই অন্য ছবি আউশগ্রামের সর গ্রামে। এ গ্রামের কাছে বাদুড় পীরের প্রতিনিধি। বাদুড়ে ঠোকরানো ফলও নিশ্চিন্তে খান তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বহু দিন ধরেই এমন অভ্যেস চলছে। প্রশাসনের তরফেও কোনও সচেতনতা প্রচার হয়নি বলে জানান তাঁরা। যদিও স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি, আগামী সপ্তাহ থেকেই প্রচার শুরু করা হবে।

Advertisement

আউশগ্রামের এড়াল পঞ্চায়েতের সর গ্রামের বোলবান্দি পাড়ায় শা-ফরিদ পীর সাহেবের মাজারের বট, অশ্বত্থ গাছে শয়ে শয়ে বাদুড়ের বাস। স্থানীয় বাসিন্দা আরজান শেখ, মোহিদ শেখ, হাঁসু শেখদের দাবি, গাছপালা কমে যাওয়ায় বাদুড়ের সংখ্যা কমে গিয়েছে। তবু এখনো প্রায় হাজার খানেক বাদুড় এখানে থাকে। তাঁদের দাবি, “বাদুড়কে এখানে কেউ ভয় পায় না। বরং পীর সাহেবের প্রতিনিধি বলে মানা হয়। বাদুড় থেকে এখানও পর্যন্ত কোনও ক্ষতিও হয়নি।’’ যে গাছের ডালে বাদুড় ঝোলে সেখানে সিন্নি ভোগ দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বাদুড়ে ঠোকরানো ফলে অনায়াসে কামড়ও দেন তাঁরা।

এড়াল পঞ্চায়েতের প্রধান উজ্জ্বল পাল জানান, পীরতলায় ওই বাদুড়ের সঙ্গে ধর্মবিশ্বাস জড়িয়ে আছে। তবে এখন জানা যাচ্ছে বাদুড়ে খাওয়া বা আঁচড়ানো ফল খেলে মারাত্মক অসুখ হতে পারে। স্বাস্থ্যকর্মী এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের দিয়ে প্রচার চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও তাঁর দাবি। আউশগ্রাম ২-এর বিডিও সুরজিৎ ভর বলে, “কারও বিশ্বাসে আঘাত না করে স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা প্রচার চালানো হবে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement