শোভাযাত্রার সাজ। নিজস্ব চিত্র।
পুজো শেষ। কিন্তু মণ্ডপের মেজাজ বলছে উৎসব এখনও বাকি।
রাসযাত্রার দাঁইহাটে মণ্ডপে মণ্ডপে বাসি ফুল, ঘট পড়ে থাকলেও বাজতে থাকা বক্স, জলসা বলছে অপেক্ষা এখন শোভাযাত্রার। নির্দিষ্ট দিনের আগে কিছু কিছু ক্লাব রাস্তায় নেমেও পড়েছে শোভাযাত্রা নিয়ে।
শহরের ৭৫টি পুজোর মধ্যে বেশির ভাগ ক্লাব শোভাযাত্রায় যোগ দেয় না। তবে মঙ্গলবার সবমিলিয়ে ৩৪টি পুজো শোভাযাত্রা বেরোবে বলে স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রের খবর। তার মধ্যে রয়েছে ঘোষপাড়ার ২টি, দেওয়ানগঞ্জের ২টি, বাজার চত্বরের ৭টি, ভাউসিঙের ৫টি, হাইস্কুল রোডের ৫টি, বাগটিকরার ৩টি, পাতাইহাট পালপাড়ার ২টি, নসিপুরের ৩টি, পাইকপাড়ার ৩টি, চামপচার ২টি প্রতিমা। লোহার চাকা লাগানো গাড়িতে বেরোবে চালবাজারের কেষ্টকালি, গণেশজননী ও সমাজবাটির বকাসুর থাকা। প্রতিটি প্রতিমার সঙ্গে ৪-৫টি বাজনা, ১৫টি করে আলোর গেট থাকবে বলেও জানা গিয়েছে। এ ছাড়াও মহাপ্রভু সঙ্ঘের শোভাযাত্রায় চোখ টানবে মায়াপুরের কীর্তনের দল। লোকগানের দল নিয়ে বের হবে শবশিবতলার বৌদ্ধ সঙ্ঘ। মহাপ্রভু সঙ্ঘ আবার পাঁচটি আলোর গেটেই কামাল দেখাবে। তাদের থিম ‘চাইনিজ নগরী’। উদ্যোক্তাদের দাবি, আলোয় আলোয় ফুটে উঠবে কখনও ড্রাগন, তো কখনও প্যাগোডা। সম্পাদক মানস চক্রবর্তীর দাবি, একটি নাচের দল আনার কথা ছিল। কিন্তু খুচরো টাকায় মজুরি চাওয়ায় আর পারা গেল না।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকাল ৪টে নাগাদ পুরনো স্টেটব্যাঙ্ক মোড় থেকে শুরু হবে শোভাযাত্রা। তারপরে বাগটিকরা, স্টেশন রোড, স্কুল রোড, চামপচা রোড হয়ে দাঁইহাট বাজার শেষ হবে। তবে ফি বছর সুষ্টু ভাবে শোভাযাত্রা পরিচালনা করার জন্য প্রতিটা ক্লাবের এক জন করে সদস্য মিলে যে শান্তি কমিটি গঠিত হয়, এ বছর সেরকম কোনও কমিটি হয়নি বলেও জানান স্থানীয়দের একাংশ।
পুলিশের দাবি, রাসযাত্রাকে ঘিরে দু’দিনই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে রাখা হবে শহর। জেলার বিভিন্ন থানা থেকে নিরাপত্তার জন্য প্রায় চারশো পুলিশকর্মী আনা হয়েছে বলেও পুলিশের দাবি। থাকছে মহিলা পুলিশ ও মোবাইল ভ্যান। এ ছাড়াও দাঁইহাটের নেতাজি সঙ্ঘ মোড়, সুভাষ রোড মোড়, সমাজবাটি মোড় ও পাইকপাড়া মোড়ে চারটি পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয়েছে। থাকছে দমকল বাহিনিও। এএসপি রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্রশাসনিক নির্দেশিকা না মানা হলে সেই ক্লাবের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।