হাসপাতালে বিক্ষোভ। (ইনসেটে) ভাঙচুরের পরে। নিজস্ব চিত্র
রোগীর মৃত্যুতে গাফিলতির অভিযোগে হাসপাতালে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল পরিজনদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার বিকেলে আসানসোলের ইএসআই হাসপাতালের ঘটনা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার সকালে কোমর ও পায়ে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় আসানসোলের কল্যাণপুর এলাকার বাসিন্দা অসীম মুখোপাধ্যায়কে (৩৭)। তিনি দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের এক ঠিকাকর্মী। টানা তিন দিন চিকিৎসার পরেও তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় এ দিন সকালে বাইরের একটি রোগনির্ণয় কেন্দ্র থেকে অসীমবাবুর সিটি স্ক্যান করান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল সুপার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সিটি স্ক্যানের প্রাথমিক রিপোর্টে রোগীর মাথায় রক্তক্ষরণের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল। এর পরেই চিকিৎসকেরা ওই রোগীকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানোর সিদ্ধান্ত নেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁকে ওই বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানোর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করা হচ্ছিল। অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থাও করা হচ্ছিল। কিন্তু তার মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়।
যদিও অসীমবাবুর পরিজনেদের অভিযোগ, স্থানান্তরিত করার কাগজপত্র তৈরির সময়ে রোগীর আচমকা শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তাঁরা সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের সে কথা জানিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান। কিন্তু অভিযোগ, কোনও ব্যবস্থা নেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালে বিক্ষোভ। (ইনসেটে) ভাঙচুরের পরে। নিজস্ব চিত্র
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, রোগী মৃত্যুর পরেই হাসপাতালে ভাঙচুর শুরু করেন রোগীর পরিজনেরা। সামনে থাকা চিকিৎসক ও নার্সদের নিগ্রহ করা হয়। প্রায় কুড়ি মিনিট ধরে তাণ্ডব চলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আসানসোল উত্তর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। উন্মত্ত জনতাকে তাড়া করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়। ইতিমধ্যে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন হাসপাতাল সুপার আশিসবাবু। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগের বিষয়টি খোঁজখবরও করা হয়।
আশিসবাবুর দাবি, ‘‘আমি প্রাথমিক ভাবে খোঁজ নিয়ে দেখেছি এ ক্ষেত্রে চিকিৎসায় গাফিলতি হয়নি। হাসপাতালে ভাঙচুরের বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করব।’’ আশিসবাবুর দাবি, রোগীর কেন আচমকা শ্বাসকষ্ট হয়েছিল তা বোঝা যাচ্ছে না।