জখম তুষারবাবু। নিজস্ব চিত্র
চলন্ত ট্রেনে পাথর ছোড়ায় গুরুতর জখম হলেন এক ব্যক্তি। শনিবার বিকালে রামপুরহাট ও তারাপীঠের মাঝে ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ বর্ধমানের নতুনপল্লির বাসিন্দা তুষারকান্তি মুখোপাধ্যায়ের। রবিবার বর্ধমানে রেলপুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করে এই ধরনের ঘটনা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান তিনি। রেলপুলিশের তরফে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
বরাকরের বেগুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক তুষারকান্তিবাবু জানান, পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি শুক্রবার রামপুরহাটের সাদিনপুরে গিয়েছিলেন। শনিবার বিকেল ৫টা নাগাদ সেখান থেকে ফেরার জন্য জয়নগর-হাওড়া প্যাসেঞ্জার ট্রেন ধরেন। জানলার পাশে বসেছিলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, ‘‘ট্রেন তারাপীঠ ঢোকার কিছুটা আগে জানলা দিয়ে একটি পাথর এসে আমার মাথায় লাগে। আহত হন পাশে বসে থাকা এক যাত্রীও। আমার মাথা ফেটে রক্ত বেরোতে থাকে।’’
তুষারকান্তিবাবু জানান, ট্রেন থেকেই তিনি রামপুরহাট স্টেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁকে ট্রেনের গার্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়। তিনি বলেন, ‘‘ক্ষতস্থান রুমাল দিয়ে বেঁধে রেখেছিলাম। সহযাত্রীরা খুব সাহায্য করেছেন। ট্রেন বর্ধমান স্টেশনে পৌঁছনোর পরে সেখান থেকে সোজা হাসপাতালে যাই।’’ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মাথায় তিনটি সেলাই হয়। তিনি জানান, আহত থাকায় সে দিন আর অভিযোগ জানাতে যাননি। রবিবার সকালে রেলপুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ট্রেনের দিকে এ ভাবে পাথর ছুড়লে বড় বিপদ ঘটে যেতে পারে। রেল কর্তৃপক্ষের উচিত উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া, যাতে এমনটা আর না ঘটে।’’
রেলের বিভিন্ন ডিভিশনে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে বারবারই। শিয়ালদহ লাইনের নানা স্টেশনে বাইরে থেকে ছোড়া পাথরে আহত হয়েছেন যাত্রীরা। আসানসোল ডিভিশনের বিভিন্ন জায়গাতেও এমন ঘটেছে। তা আটকাতে ওই ডিভিশনের তরফে রেললাইনের আশপাশের এলাকায় সচেতনতা কর্মসূচির উদ্যোগও হয়েছে।
রেলপুলিশের সাইঁথিয়ার আধিকারিক প্রীতম দাস জানান, বর্ধমানের রেলপুলিশের তরফে এ দিন ঘটনাটি তাঁদের জানানো হয়েছে। তাঁর আশ্বাস, গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বিষয়টি। যে জায়গায় ওই ঘটনা ঘটেছে বলে জানানো হয়েছে, সেখানে তদন্ত শুরু হয়েছে। রেলপুলিশের কর্মীদের সাদা পোশাকে নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে। চলন্ত ট্রেনেও নজর রাখা হবে বলে জানান তিনি।