গাড়ি নিয়ে বনভোজন করতে মাইথনে পৌঁছলেই এ বার থেকে দিতে হবে ‘পার্কিং ফি’। সম্প্রতি পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ডসভায় ২৫ ডিসেম্বর থেকে এই ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে, জানান সালানপুরের বিডিও তপন সরকার। ব্লক প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত জানার পরে এলাকার ছোট ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, এর জেরে মাইথনে পর্যটকের সংখ্যা কমবে, মার খাবে ব্যবসা।
ফি বছর শীতে মাইথনে ছোট-বড় গাড়িতে চ়ড়ে লক্ষাধিক মানুষ পিকনিক করতে আসেন। রাস্তার দু’পাশে গাড়ি রাখার ব্যবস্থা হয়। এ বারও সেই ব্যবস্থা হবে, কিন্তু গাড়ি রাখতে ব্লক প্রশাসনকে নির্দিষ্ট টাকা দিতে হবে। বিডিও জানান, পিকনিকের মরসুম শুরুর আগে ওই এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়। ঝোপঝাড় কেটে সাফ করা হয়। পর্যটকদের সুবিধার জন্য একাধিক অস্থায়ী শৌচাগার তৈরি করা হয়। পিকনিকের ফলে এলাকা আবার আবর্জনায় ভরে যায়। তাই এলাকা নিয়মিত সাফ করতে হয়। এ সবের জন্য প্রশাসনের মোটা টাকা খরচ হয়।
পঞ্চায়েতের সীমিত ক্ষমতায় উন্নয়নকাজের পাশপাশি এই টাকা খরচ করা সম্ভব হচ্ছে না দাবি করে বিডিও তপনবাবু বলেন, ‘‘তাই আমরা পিকনিকে আসা গাড়িগুলির কাছ থেকে পার্কিং ফি নেব। যে টাকা আদায় হবে তা ওই সবের জন্য খরচ করা হবে।’’ কত টাকা করে পার্কিং ফি লাগু হচ্ছে তা অবশ্য বিডিও জানাননি। তবে ব্লক প্রশাসনের একটি সূত্রের দাবি, বড় গাড়ি পিছু দেড়শো ও ছোট গাড়ির কাছে ১০০ টাকা করে নেওয়া হবে।
পার্কিং ফি চালুর খবরে ক্ষুব্ধ এলাকার ছোট ব্যবসায়ীরা। তাঁরা জানান, বছরের এই ক’টা মাসের বিক্রিবাটার উপরে ভরসা করে থাকেন। চড়া হারে পার্কিং ফি নেওয়া হলে পর্যটকের সংখ্যা কমবে, তাতে বিক্রিও কমে যাবে বলে তাঁদের আশঙ্কা। ওই ব্যবসায়ীদের দাবি, এমনিতেই এ বার নোট বাতিলের ধাক্কায় পর্যটকের সংখ্যা অনেক কম। এর পরে পর্যটক আরও কমলে তাঁরা বিপাকে পড়ে যাবেন। যদিও সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্যামল মজুমদারের আশ্বাস, চড়া হারে নয়, পার্কিং ফি রাখা হবে সাধ্যের মধ্যেই।