হরগৌরি পাড়ায় ভাঙা মেলায় পাঁপড় মন খুদেদের। নিজস্ব চিত্র।
তিথি অনুযায়ী পুজো শেষ। ঘট বিসর্জনও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু মহরমের জন্য বিসর্জনের অনুমতি না পাওয়ায় অনেক মণ্ডপেই রয়ে গিয়েছে প্রতিমা, আলোকসজ্জা। ফলে বুধবার একাদশীতেও ঠাকুর দেখতে বেরোতে দেখা গিয়েছে অনেককে। মণ্ডপে মণ্ডপে চলেছে আড্ডা-অনুষ্ঠানও।
বুধবার কাটোয়ার একাধিক মণ্ডপ ঘুরে দেখা যায়, কোথাও সার বেঁধে চলছে গল্প-আড্ডা। কোথাও রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। পাত পেড়ে পংক্তিভোজের ব্যবস্থাও করেছে কিছু পুজোকমিটি। স্টেশন বাজার সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির সম্পাদক রাধু মণ্ডল যেমন বলেন, ‘‘মহিলা ও শিশুদের আবদারে কোনও বারই দশমীর দিন বিসর্জন করি না আমরা। তবে একাদশীতে বিসর্জন হয়ে যায়। কিন্তু এ বার বিসর্জনের অনুমতি না মেলায় আরও দু’দিন মায়ের পুজো হবে। থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন।’’ প্রান্তিক পাড়া কন্টকেশ্বর শিবমন্দির কমিটির সম্পাদক অনুপ ঘোষের কথাতেও একই সুর। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার। দ্বাদশীর দিন লোকগানের আসর বসবে মণ্ডপ চত্বরে। আড্ডার আমেজ বিদ্যাসাগর পল্লিতেও। সন্ধ্যায় সেখানে হাঁড়ি ভাঙা, নাচ-গানের আসর বসেছে।
মণ্ডলপাড়া পুজো কমিটির আলো খুলে নেওয়া হলেও পাড়ার বাসিন্দাদের নিয়ে বৃহস্পতিবার আয়োজন হয়েছে পংক্তিভোজের। ক’কেজি চাল কেনা হবে, বাজার থেকে সব্জি কেনার দায়িত্ব কার এ নিয়ে আলোচনায় মেতে রয়েছেন কমিটির সদস্যেরা। ওই পুজো কমিটির সম্পাদক ভাস্কর হাজরা জানান, প্রতিমা বিসর্জন যখন হলই না, তখন পাড়ার লোকজন মিলে আনন্দ করা হচ্ছে।
প্রতিমার সামনে খেলায় ব্যস্ত খুদেরা।
হরগৌরিপাড়া মধ্যপল্লি সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটিতে আবার একাদশীর সন্ধ্যায় থাকছে বাউলগানের আয়োজন। দ্বাদশীর দিন শিশুদের কথা মাথায় রেখে ম্যাজিক দেখানোর ব্যবস্থা করেছে পুজো কমিটি। উদ্যোক্তারা জানান, পুজোর থিম ছিল চড়কের মেলা। হরগৌরিপাড়ার গলি জুড়ে মাটির হরেক পুতুল সাজিয়ে মেলার পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছিল। একাদশীর দিন খুদেদের খুনসুটিতে সেখানে যেন ফিরে এল ভাঙা মেলার পরিবেশ।
খুদে সৈকত, ঋষিদের দেখা গেল মাটির পুতুল ফুচকাওয়ালার, পাঁপড়ওয়ালার কাছ থেকে খেলার ছলে পাঁপড় খেতে।