ভিড়ে ঠাসা সমাবেশ সিপিএমের

এই পড়তি বাজারেও এমন ভিড়! বৃহস্পতিবার বিকেলে কার্জন গেটের সামনে সিপিএমের বড়সড় সমাবেশ দেখে এমনই প্রশ্ন ঘুরছে বর্ধমানের আমজনতার মাথায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৭ ০২:১১
Share:

ঠাসা: বর্ধমান জেলা-ভাগের ঠিক আগের দিন, বৃহস্পতিবার কার্জন গেটের সামনে বড় সমাবেশ করল সিপিএম। সেখানে তৃণমূল, বিজেপিকে আক্রমণ, সাম্প্রদায়িক শক্তির সামালোচনা, ফসলের দাম না পাওয়ার প্রসঙ্গ থাকলেও কোনও বক্তার কথাতেই এল না জেলা ভাগের কথা। সিপিএমের দাবি, অন্তত ৫০ হাজার লোক হয়েছে। পুলিশের হিসেবে তা ১৫ হাজার। নিজস্ব চিত্র

এই পড়তি বাজারেও এমন ভিড়! বৃহস্পতিবার বিকেলে কার্জন গেটের সামনে সিপিএমের বড়সড় সমাবেশ দেখে এমনই প্রশ্ন ঘুরছে বর্ধমানের আমজনতার মাথায়।

Advertisement

‘অবিভক্ত’ বর্ধমান জেলার শেষ দিনে এই সমাবেশ করে এই সমাবেশ করে সিপিএম নেতারা যেন বোঝানোর চেষ্টা করলেন, জেলায় এখনও তাঁদের শক্তি রয়েছে। ‘আমরা ভাল নেই’—এই স্লোগানকে সামনে রেখে হওয়া সমাবেশের পরেই ১৭ দফা দাবি নিয়ে সিপিএমের এক প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসনের দফতরে স্মারকলিপি দেয়। তবে, সমাবেশে দলের কোনও বক্তাই জেলা ভাগ নিয়ে উচ্চবাচ্য করেননি।

জেলার গ্রামীণ ও শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সিপিএম কর্মী-সমর্থকরা এ দিন সমাবেশে হাজির হয়েছিলেন। কার্জন গেটের সভাস্থল থেকে টেলিফোন ভবনের শেষ পর্যন্ত এবং পিছনে পেট্রোল পাম্প পর্যন্ত শুধুই লোকের মাথা চোখে পড়েছে। এমনকী, রাস্তার ধারে বাড়ির ছাদেও লোক দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে। সিপিএম নেতাদের দাবি, তৃণমূল সরকারের আমলে বর্ধমানে এ দিনই সবচেয়ে বেশি জমায়েত হয়েছে। শহরের কেন্দ্রস্থলে পুরনো জিটি রোডের উপরে এমন সমাবেশের ফলে শহর ঘণ্টা আড়াইয়ের জন্য কার্যত অচল হয়ে যায়। সেই দৃশ্য দেখে বরং উজ্জীবিতই হয়েছে সিপিএম। দলের জেলা সম্পাদক অচিন্ত্য মল্লিক বলেন, “মনে তো হচ্ছে, ৫০ হাজারের আশপাশে লোক আমাদের সভায় এসেছে।” তৃণমূল ও জেলা পুলিশ অবশ্য দাবি করেছে, মেরেকেটে ১৫ হাজারের ভিড় হয়েছে। তবে, ভিড় যে আদতে তার চেয়ে অনেকটাই বেশি, তা আড়ালে মানছেন শাসকদলের নেতা-কর্মীরাও।

Advertisement

এ দিনের সভায় হাজির ছিলেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মদন ঘোষ, রাজ্য কৃষক সভার সম্পাদক অমল হালদার প্রমুখ। তৃণমূল ও বিজেপিকে বিঁধে সাম্প্রদায়িক শক্তির বাড়বাড়ন্ত থেকে কৃষকের ফসলের দাম না-পাওয়া, শিল্পাঞ্চলে একের পর এক কারখানা বন্ধ থেকে অ্যাসিড-আক্রান্তদের কথাও উঠে এসেছে নেতাদের বক্তৃতায়। কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে তাঁদের বার্তা, “এই সমাবেশ থেকে ফিরে গিয়ে বাড়িতে বসে থাকলে চলবে না। পাড়ায়-পাড়ায়, গ্রামে-গ্রামে গিয়ে আন্দোলন করতে হবে। জীবন-জীবিকা-অধিকারের জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। দিনরাত যতই উৎসব চলুক, আদতে আমরা ভাল নেই।”

জেলা তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক উত্তম সেনগুপ্তর কটাক্ষ, “মানুষকে ভাল থাকতে দেবে না বলেই জেলা ভাগের আগের দিন এবং চৈত্র সেলের সময় শহরকে অচল করে দিল সিপিএম।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement