রামেন্দ্রসুন্দর মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র
অনলাইনে খাবার অর্ডার করতে গিয়ে প্রতারণার ফাঁদে বর্ধমানের আইনজীবী। মুহূর্তে ব্যাঙ্ক থেকে উধাও ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা। অভিযোগ দায়ের করার পরে চার দিন কেটে গেলেও এখনও টাকা ফেরত পাওয়া তো দূর, কারা এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত, তাও ধরতে পারেনি পুলিশ। অপরিচিত লিঙ্ক ও অ্যাপ ব্যবহারের পর এখন কার্যত কপাল চাপড়াচ্ছেন বর্ধমান শহরের নতুনপল্লির বাসিন্দা রামেন্দ্রসুন্দর মণ্ডল।
রামেন্দ্রসুন্দর পেশায় আইনজীবী। সোমবার সন্ধ্যায় তাঁর মোবাইলে একটি খাবার প্রস্তুতকারী সংস্থার বিজ্ঞাপন আসে। তাঁকে একটি লিঙ্ক দেওয়া হয়। লিংকে ক্লিক করে খাবার অর্ডার করার প্রক্রিয়া শুরু করতে ১০ টাকা জমা করতে বলা হয় তাঁকে। কিছু ক্ষণ পর তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। কী ভাবে ১০ টাকা আগাম জমা করতে হবে, তা তাঁকে বলা হয়। তাঁকে একটি ফর্মও পাঠানো হয়। কী ভাবে ফর্ম পূরণ করতে হবে, তা ফোন করে জানানো হয় তাঁকে। সেই মতো তিনি ফর্ম পূরণ করেন। এর পর তাঁকে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হয়। তিনি অ্যাপটি ডাউনলোড করেন। সেখানে তাঁকে অর্ডার দিতে বলা হয়। পরের দিন সকাল ১০টার মধ্যে তাঁর বাড়িতে অর্ডার দেওয়া খাবার পৌঁছে যাবে বলেও জানায় সংস্থা। তিনি সেই মতো সবটাই করেন।
কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর মোবাইলে ব্যাঙ্কের মেসেজ আসে। তা থেকে তিনি জানতে পারেন, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে তিনি তড়িঘড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।