আহত পুলিশকর্মী। নিজস্ব চিত্র
নিয়ম না মেনে হাসপাতালে ঢোকার অভিযোগকে কেন্দ্র করে গোলমাল পাকল কাটোয়ায়। রোগীর আত্মীয়দের সঙ্গে পুলিশের বচসা থেকে মারপিট বেধে যায়। রবিবার সকালে এই ঘটনায় আহত হন এক মহিলা পুলিশকর্মী। পুলিশ জানায়, ঘটনায় মূল অভিযুক্তের খোঁজ চলছে। তার দুই সঙ্গীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্দিষ্ট সময় ছাড়া অন্য সময়ে হাসপাতালের একটি কার্ড নিয়ে এক জন পরিজন ভিতরে যেতে পারেন। বেরিয়ে যাওয়ার সময়ে সেই কার্ড নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে জমা দিতে হয়। এ দিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ হাসপাতালের মূল ভবনের ২ নম্বর গেটে কর্মরত ছিলেন মহিলা পুলিশকর্মী আশা হাজরা। অভিযোগ, তখন কার্ড ছাড়াই হাসপাতালে ঢোকার জন্য অনেক রোগীর আত্মীয় গেটে থাকা রক্ষীদের চাপ দিতে থাকেন। শহরের কাটোয়াপাড়ার বাসিন্দা এক মহিলা সেই সময়ে নিয়ম ভেঙে ভিতর থেকে বাইরে থাকা লোকজনকে কার্ড পাচার করছিলেন বলে অভিযোগ। তা ধরে ফেলায় বচসা শুরু হয়। মহিলা পুলিশকর্মী ঘটনার প্রতিবাদ করলে বচসা থেকে হাতাহাতি শুরু হয়। রোগীর আত্মীয়দের একাংশ তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। তাঁর চিৎকারে আরও পুলিশকর্মী ছুটে এলে অভিযুক্ত মহিলা হুমকি দিয়ে হাসপাতাল চত্বর ছেড়ে পালিয়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আহত মহিলা পুলিশকর্মীর বাঁ হাতে গুরুতর চোট লেগেছে। তাঁকে ওই হাসপাতালেই ভর্তি করানো হয়। তাঁর অভিযোগ, ‘‘ওই মহিলা গায়ের জোরে হাসপাতালের ভিতরে ঢোকেন। পরে আবার ভিতর থেকে কার্ড পাচার করছিলেন। আমি তা হাতেনাতে ধরে ফেলায় মারমুখী হয়ে ওঠেন। আমাকে মাটিতে ফেলে মারধর করা হয়। ধারাল কিছু দিয়ে হাতে আঘাত করা হয়েছে।’’
কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের সুপার রতন শাসমল বলেন, ‘‘হাসপাতালে নিয়ম মেনেই রোগীর সঙ্গে দেখা করতে হবে। ওয়ার্ডের ভিতরে অযথা ভিড় করলে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে অসুবিধা হয়। নিয়ম না মেনে হাসপাতালে ঢুকতে গিয়ে বাধা দেওয়ায় এক মহিলা পুলিশকর্মীকে মারধর করা হয়েছে। এ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’’
পুলিশ জানিয়েছে, কাজে বাধা ও মহিলা পুলিশকর্মীকে মারধরের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত মহিলার খোঁজে তল্লাশি চলছে। ওই মহিলার সঙ্গে থাকা দু’জনকে আটক করা হয়েছে।