সেই জলের ট্যাঙ্ক। — ফাইল ছবি।
বর্ধমান স্টেশনে ট্যাঙ্ক বিপর্যয়ের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেল। রবিবার সকালে মৃত্যু হয়েছে সুধীর সূত্রধর নামে এক প্রৌঢ়ের। তিনি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এ নিয়ে ট্যাঙ্ক বিপর্যয় কাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চার জন।
গত বুধবার বর্ধমান স্টেশনের দুই এবং তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মের মধ্যবর্তী অংশে থাকা বহু পুরনো একটি লোহার জলের ট্যাঙ্কের একাংশ ফেটে পড়ে। বিপুল পরিমাণ জল এবং ভাঙা লোহার অংশের ভার সরাসরি গিয়ে পড়ে তলায় থাকা যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের শেডের উপর। ভার রাখতে না পেরে যাত্রীদের মাথার উপরেই ভেঙে পড়ে শেড। তাতে ঘটনাস্থলে তিন জনের মৃত্যু হয়। জানা যায়, তাঁদের মধ্যে দু’জন ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা— সোনারাম টুডু (৩৫) এবং ক্রান্তি বাহাদুর (১৬)। অন্য জন, মফিজা খাতুন (৩৫)। বর্ধমান শহরের লাকুড্ডির বাসিন্দা ছিলেন তিনি। জখম হন অন্তত ৩৪ জন। তাঁদের বর্ধমান মে়ডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ৬২ বছরের সুধীরও ছিলেন তাঁদের মধ্যে। রবিবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।
জানা গিয়েছে, সুধীরের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মেমারির কলেজ পাড়ায়। তাঁর ছেলে গোপাল বলেন, ‘‘বাবা ট্রেন ধরবেন বলে বর্ধমান স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করছিলেন। সেই সময়ই হুড়মুড় করে প্রথমে ট্যাঙ্ক ফাটে, তার পরেই শেড ভেঙে পড়ে বাবার মাথায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসাপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, অবস্থা আশঙ্কাজনক। আজ (রবিবার) সকালে বাবা চলে গেলেন।’’
কী ভাবে স্টেশনের জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়তে পারে, তা নিয়ে বিস্তারিত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রেল। গঠিত হয়েছে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি। এই ঘটনায় রেলের গাফিলতির অভিযোগও উঠছে। রেলের গাফিলতির অভিযোগ তুলে এফআইআর দায়ের করেছেন এক মৃতের পরিবার।