Burdwan Medical College Hospital

ডাক্তার ‘নিগ্রহ’, আটক রোগীর পরিজন

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এ দিন সকালে রায়নার রসুলপুর গ্রাম থেকে সাবির আলি নামে সর্পদষ্ট এক জনকে বর্ধমান মেডিক্যালে আনা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৯ ২৩:৩৬
Share:

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। ফাইল চিত্র।

ফের জুনিয়র চিকিৎসক ‘নিগ্রহের’ অভিযোগ উঠল রোগীর পরিজনদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের রাধারানি ওয়ার্ডের ঘটনা।

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এ দিন সকালে রায়নার রসুলপুর গ্রাম থেকে সাবির আলি নামে সর্পদষ্ট এক জনকে বর্ধমান মেডিক্যালে আনা হয়। তাঁকে জরুরি বিভাগে দেখানোর পরে রাধারানি ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। জুনিয়র চিকিৎসক স্মরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, রোগীকে রাধারানি ওয়ার্ডে ভর্তি করানোর পরে দেখা যায় তাঁর নামে ভুল রয়েছে। জরুরি বিভাগ থেকে এই ওয়ার্ডে পাঠানো হলেও নথিতে গোলমাল ছিল। রোগী-স্বার্থে তা ঠিক করার কথা বলতে রোগীর এক পরিজন নিগ্রহ করেন বলে অভিযোগ। যদিও জুনিয়র চিকিৎসকের এই অভিযোগ মানতে চাননি রোগীর পরিজনেরা। তাঁরা জানান, নামের বানান ভুল আছে জানিয়ে চিকিৎসা শুরু করা হচ্ছিল না। তা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরে ক্ষমাও চাওয়া হয়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, পুলিশ দ্রুত বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ওই জুনিয়র চিকিৎসক হাসপাতালের সুপার প্রবীর সেনগুপ্তের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। গোটা ঘটনাটি তাঁদের সামনে ঘটেছে বলে সুপারকে জানান সিনিয়র চিকিৎসক অর্পণ মাইতি ও তিয়াস বিশ্বাস। প্রবীরবাবু অভিযোগপত্রটি ‘এফআইআর’ করার জন্য বর্ধমানে থানার আইসি-র কাছে পাঠান। জুনিয়র চিকিৎসকদের একটি দলও আইসি-র সঙ্গে দেখা করেন।

Advertisement

সম্প্রতি, এনআরএস-কাণ্ডের জেরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেও অশান্তির অভিযোগ উঠেছিল। তা নিয়ে আন্দোলনের জেরে স্বাস্থ্য-পরিষেবা নিয়েও প্রশ্ন উঠে যায়। শেষমেশ জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকের পরে হাসপাতালের নিরাপত্তায় জোর দেওয়া হয়। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেও পুলিশ, সিভিক ভলান্টিয়ারের সংখ্যা বাড়ানো হয়।

এর পরে এই হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে রোগীর পরিজনদের মধ্যে কোনও অশান্তি বা মনোমালিন্যের ঘটনা ঘটেনি বলেই দাবি। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবারের ঘটনাটিকে ‘বিচ্ছিন্ন’ বলেই দাবি করেছেন। হাসপাতালের ডেপুটি সুপার অমিতাভ সাহার দাবি, “সাপে কাটা এক জনকে নিয়ে সমস্যা হয়। রোগী-স্বার্থেই নথি ঠিক করার জন্য পরিজনদের জানান জুনিয়র চিকিৎসক। সেই সময়েই তাঁকে নিগ্রহ করা হয়। পুলিশ রোগীর এক আত্মীয়কে আটক করেছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement