জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।
অতিথির ছোড়া গুলিতে পণ্ড হল বৌভাতের অনুষ্ঠান! মারা গেলেন এক অতিথিও।
এক দিকে বৌভাতের খাওয়া দাওয়া চলছিল। অতিথিরা যে যাঁর মতো মেতে ছিলেন অনুষ্ঠান নিয়ে। আর অন্য দিকে চলছিল পাত্রের বন্ধুদের উদ্দাম নাচ। সেই নাচের অনুষ্ঠান থেকেই আচমকা এলোপাথারি গুলি চালাতে শুরু করেন পাত্রের ভাইয়ের এক বন্ধু। তাঁর ছোড়া গুলি লেগে মৃত্যু হয় এক মহিলার। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছেন আরও দু’জন। ক্ষুব্ধ জনতার বেধড়ক মারে গুরুতর জখম হয়ে অভিযুক্তও হাসপাতালে ভর্তি। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের কাঁকড়শোলের বাউড়ি পাড়ায়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে জানা গিয়েছে, ওই রাতে বৌভাতের অনুষ্ঠানের একদিকে গান চালিয়ে পাত্রের কয়েক জন বন্ধু নাচছিলেন। সেই দলে অলোক সাউ নামে এক যুবকও ছিলেন। সাগরের ভাইয়ের বন্ধু অলোক। তাঁরা প্রত্যেকেই মদ্যপ ছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। নাচ চলাকালীন রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ কোনও একটি বিষয় নিয়ে অলোকের সঙ্গে সেই দলের আর এক যুবকের বচসা শুরু হয়ে যায়। সেই সময় হঠাত্ই আগ্নেয়াস্ত্র বের করে গুলি চালাতে শুরু করেন অলোক। গুলিতে জখম হন অনিতা বাউড়ি এবং লক্ষ্মী বাউড়ি নামে দুই নিমন্ত্রিত অতিথি। অনিতার বুকে এবং লক্ষ্মীর তলপেটে গুলি লাগে।
আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ডে মাংস ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার বিজেপি নেতা
অলোককে এই ভাবে গুলি চালাতে দেখে সাগরের ভাই কৃশানু তাঁকে আটকাতে যান। তাঁর পেটেও একটি গুলি লাগে। এর পরেই অলোকের বন্দুকের গুলি শেষ হয়ে যায়। তখনই নিমন্ত্রিতরা তাঁকে বেধড়ক মারতে শুরু করেন।
পরে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে ওই চারজনকেই উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হালপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকেরা অনিতাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকি তিনজনের চিকিৎসা চলছে।
বৌভাতের অনুষ্ঠানে কেন অলোক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গিয়েছিলেন? তার কাছে আগ্নেয়াস্ত্রটি এল কোথা থেকে? কোনও পুরনো শত্রুতার জেরেই এই ঘটনা কি না এই সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।