উপদ্রুত অঞ্চলে টহল নেই, নালিশ বামের

কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিজেদের ইচ্ছে মতো পরিচালনা করছে রাজ্য পুলিশ— প্রশাসনের সর্বদল বৈঠকে এমনই অভিযোগ করল সিপিএম। বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরে এই এই বৈঠকে এ ছাড়াও সরকারি জায়গায় শাসক দলের হোর্ডিং-ব্যানার রয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিক সৌমিত্র মোহন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৬ ০১:৫৫
Share:

সর্বদলীয় বৈঠক। নিজস্ব চিত্র।

কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিজেদের ইচ্ছে মতো পরিচালনা করছে রাজ্য পুলিশ— প্রশাসনের সর্বদল বৈঠকে এমনই অভিযোগ করল সিপিএম। বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরে এই এই বৈঠকে এ ছাড়াও সরকারি জায়গায় শাসক দলের হোর্ডিং-ব্যানার রয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিক সৌমিত্র মোহন।

Advertisement

এ দিন সিটি সেন্টারে এডিডিএ-র বোর্ডরুমে বৈঠক ডেকেছিলেন জেলাশাসক। নানা রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা ছাড়াও ছিলেন পুলিশ কমিশনার সিদ্ধিনাথ গুপ্ত, জেলার পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবাল। সিপিএম অভিযোগ করে, রাজ্য পুলিশ নিজের মতো করে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে পরিচালনা করছে। উপদ্রুত অঞ্চল টহলদারি থেকে বাদ যাচ্ছে। অথচ, শান্তিপূর্ণ এলাকায় রুট মার্চ হচ্ছে। তা ছাড়া কোনও এক জায়গায় এক বারের বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল দেখা যাচ্ছে না। ফলে, মানুষের মধ্যে আস্থা ফিরছে না।

আরও অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে দুর্গাপুর-সহ বিভিন্ন এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীদের সঙ্গে সিভিক ভলান্টিয়াররাও রুট মার্চে যাচ্ছেন। সরকারি জায়গা থেকে শাসক দলের বিভিন্ন হোর্ডিং, ব্যানার খোলা হয়নি। এ ছাড়া কোনও অভিযোগ জানানোর ৪৮ ঘণ্টা পরে প্রশাসনের তরফে রিপোর্ট আসছে ঠিকই, কিন্তু তার ভিত্তিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তার উল্লেখ থাকছে না। ফলে, অভিযোগ জানিয়েও ফল সম্পর্কে নিশ্চিত কিছু জানা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন সিপিএমের প্রতিনিধিরা।

Advertisement

জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা যাতে কোনও ভাবে অমান্য না হয় সে ব্যাপারে কড়া নজর রাখা হয়েছে। বৈঠকে রাজনৈতিক দলের অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement