Coronavirus in West Bengal

কোভিড চিকিৎসায় ‘প্রতারণা’ করছে নার্সিংহোম, সর্তকবার্তা

Advertisement

সৌমেন দত্ত

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০২০ ০৫:১৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনা-চিকিৎসায় কলকাতার একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল বেলাগাম বিল নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বর্ধমান শহরে আবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় কোভিডের চিকিৎসা করিয়ে রোগী পরিবারকে ‘বোকা’ বানিয়ে মোটা অঙ্কের বিল নেওয়ার ঘটনা নজরে এসেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের। সরাসরি অভিযোগ না হলেও বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোমগুলিকে সতর্কবার্তা দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।

Advertisement

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্বর নিয়ে নার্সিংহোমে ভর্তি হচ্ছেন অনেকে। জ্বর ও অন্য রোগের চিকিৎসার সঙ্গেই বেসরকারি ল্যাবরেটরি থেকে করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ হলে, সরকারি ব্যবস্থাপনায় গাংপুরের কাছে কোভিড-হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করছে ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। ছাড়া পাওয়ার পরে, কোভিড হাসপাতালে যাতায়াত, চিকিৎসার বিল রোগীর কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।

স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরেই হাসপাতাল থেকে ‘১০২’ নম্বরে ফোন করে সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স ডাকা হচ্ছে। তার পরে রোগীকে খাতায়-কলমে ছুটি না দিয়েই গাংপুরের ওই হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। সেখানে সুস্থ হয়ে ওঠার পরে, রোগীকে ‘পাকড়াও’ করে ফের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে। সরকারের ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসার খরচ ধরে রোগীর পরিবারকে বিল দেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা মনে করছেন, সুযোগ বুঝে রোগী ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে প্রতারণা করছে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কারা-কারা এই ‘প্রতারণা’ চক্রে শামিল, তার তালিকাও জোগাড় করেছে স্বাস্থ্য দফতর। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছেন দফতরের কর্তারা। তাঁদের কথায়, ‘‘বেশ কয়েকটি উদাহরণ আমাদের কাছে আসার পরেই প্রতিটি নার্সিংহোম ও বেসরকারি হাসপাতালকে সতর্ক করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, নার্সিংহোম বা বেসরকারি হাসপাতাল থেকে কোনও করোনা-আক্রান্তকে কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যেতে গেলে, সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল বা নার্সিংহোমের কাছ থেকে ছুটির শংসাপত্র (ডিসচার্জ সার্টিফিকেট) নিতে হবে।’’

ঘটনাটি নিয়ে উদ্বিগ্ন জেলা নার্সিংহোম মালিক সংগঠন। সংগঠনের সম্পাদক শেখ আহলাজউদ্দিন বলেন, “আমাদের নজরে বিষয়টি এসেছে। এ ধরনের ঘটনা অমানবিক, নয় অপরাধও। এমন প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করে সতর্ক করে দিয়েছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement