—প্রতীকী ছবি।
সপ্তাহ পার, তবু বর্ধমান স্টেশন চত্বরে বৃদ্ধাকে ‘ধর্ষণে’র ঘটনায় ধরে পড়েনি কেউ। ওই বৃদ্ধা এখনও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। ফলে পুলিশ সরাসরি তাঁর মুখ থেকে কোনও বয়ান নিতে পারেনি। এতে তদন্তে বাধা পড়ছে বলেও পুলিশের দাবি।
জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “তদন্তের অনেকটা আমরা এগিয়েছি। কিন্তু বৃদ্ধার বয়ান খুবই প্রয়োজন। তাঁর সঙ্গে কথা বললে বুঝতে পারব, তিনি কোথায় পড়েছিলেন। কোন জায়গায় নির্যাতিত হয়েছিলেন।” ওই কর্তার দাবি, অভিযুক্তের শারীরিক বিবরণ পেতে ওই বৃদ্ধার সঙ্গে কথা বলা খুবই জরুরি।
পুলিশ জানিয়েছে, হুগলির আরামবাগ থেকে ছেলে এসে হাসপাতালে ওই বৃদ্ধার সঙ্গে দেখা করে গিয়েছেন। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, ঘটনার ১০-১২ দিন আগে গোঘাটের শ্যাওড়া গ্রামে বাড়ি ছেড়ে চলে আসেন বৃদ্ধা। তারপর থেকে তিনি নিখোঁজই ছিলেন। কিন্তু কী ভাবে ওই বৃদ্ধা বর্ধমান স্টেশনে এসেছিলেন তা এখনও অজানা। তবে পুলিশের অনুমান, ভোরের দিকে স্টেশন লাগোয়া এলাকায় ওই বৃদ্ধাকে ধর্ষণ করে পালায় অভিযুক্ত। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, একজন রিকশা চালক ওই বৃদ্ধাকে হাসপাতালের গেটে নামিয়ে দিয়ে চলে যাচ্ছেন। আর দু’জন সাফাইকর্মী ওই বৃদ্ধাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেটে পৌঁছে দিচ্ছেন।
পুলিশের ওই কর্তা জানান, রিকশা চালককে খুঁজে বের করে তাঁর সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, স্টেশনের কাছে একটি মিষ্টির দোকানের সামনে থেকে কয়েকজন মিলে ওই বৃদ্ধাকে রিকশায় তুলে দেন। রক্তাক্ত বৃদ্ধাকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে চলে যান তিনি। ওই সাফাইকর্মীরাও একই কথা জানান। পুলিশের দাবি, রেল পুলিশকে এগিয়ে আসতে অনুরোধ করা হয়েছিল। তারাও খোঁজখবর করতে শুরু করেছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হন বৃদ্ধা। সে দিনই অস্ত্রোপচার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন, ওই বৃদ্ধা ধর্ষিত হয়েছেন। ওই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই ১৫ সেপ্টেম্বর বর্ধমান থানার আইসি তুষারকান্তি কর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন।