Deposit

ব্যাঙ্ক থেকে স্থায়ী আমানত ‘উধাও’

২০১২ সালের ২৭ জুলাই কোনও কারণে ভুল ‘এন্ট্রি’ হয়ে স্পন্দন কমপ্লেক্সের স্থায়ী আমানতের ১৩,৪৭,৬৪৬ টাকা চলে যায় রাজ্য সরকারের ‘এসসি, এসটি ফিনান্স কর্পোরেশন’-এর কাছে। এত বছর পর কী ভাবে ভুল ‘এন্ট্রি’ হয়েছিল তার ব্যাখা পাওয়া এক প্রকার অসম্ভব, দাবি তাঁদের। ‘ভুল’ ধরা পড়ে ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২০ ০৭:১০
Share:

প্রতীকী ছবি।

ব্যাঙ্কে জমা স্থায়ী আমানত ‘গায়েব’! এমনই ঘটনা ঘটেছে বর্ধমানে। ‘স্পন্দন কমপ্লেক্স’-এর অ্যাকাউন্টে থাকা স্থায়ী আমানতের ওই সাড়ে ১৩ লক্ষ টাকা কেউ যে নিয়ে পালায়নি, তা নিশ্চিত হতেই ছ’বছর কেটে গিয়েছে জেলা প্রশাসনের। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কটির দাবি, ওই টাকা ভুল করে রাজ্য সরকারের ‘এসসি, এসটি ফিনান্স কর্পোরেশন’-এর অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে। টাকা ফেরত চাইতে গিয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের নজরে আসে, ওই সংস্থা সব টাকা তুলে নিয়ে অ্যাকাউন্টের সব রকম লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছে। চিঠি পাঠিয়ে টাকা চাওয়া হলে ওই সংস্থার তরফে জানানো হয়, তাদের অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা জমা হয়নি। দু’দিন আগে অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) রজত নন্দ পুরো বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেন। তাঁর আশ্বাস, ‘‘স্পন্দন কমপ্লেক্সের টাকা উদ্ধারের জন্য বৈঠক হয়েছে। টাকা ফেরত পাওয়া যাবে।’’

Advertisement

এ রকম ‘ভুল’ হল কী ভাবে?

ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, ২০১২ সালের ২৭ জুলাই কোনও কারণে ভুল ‘এন্ট্রি’ হয়ে স্পন্দন কমপ্লেক্সের স্থায়ী আমানতের ১৩,৪৭,৬৪৬ টাকা চলে যায় রাজ্য সরকারের ‘এসসি, এসটি ফিনান্স কর্পোরেশন’-এর কাছে। এত বছর পর কী ভাবে ভুল ‘এন্ট্রি’ হয়েছিল তার ব্যাখা পাওয়া এক প্রকার অসম্ভব, দাবি তাঁদের। ‘ভুল’ ধরা পড়ে ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে। জেলা পরিকল্পনা দফতর (ডিপিএলও) সূত্রে জানা যায়, স্পন্দন কমপ্লেক্সের স্থায়ী আমানতের সুদ বেশ কয়েকবছর না মেলায়, কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, ব্যাঙ্কে থাকা স্থায়ী আমানতই ‘উধাও’!

Advertisement

ডিপিএলও সৈকত হাজরা বলেন, “এর পরে ওই টাকার খোঁজে আমরা ক্রমাগত চিঠি পাঠাতে থাকি। ২০১৯ সালের ২০ জুন ব্যাঙ্ক চিঠি দিয়ে জানায়, ভুল এন্ট্রি হয়ে টাকাটা রাজ্য সরকারের ওই সংস্থার কাছে চলে গিয়েছে। ব্যাঙ্ককে ফের চিঠি দিয়ে সুদ-সমেত টাকা ফেরতের দাবি করা হয়।’’ ডিপিএলও দফতরের দাবি, ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, রাজ্য সরকারের ওই সংস্থা টাকা পাওয়ার কথা স্বীকার করছে না। তারা অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে, তাঁরা সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। ব্যাঙ্কের তরফে আরও জানানো হয়, দু’টি সংস্থাই জেলা প্রশাসনের। প্রশাসনিক আলোচনার মাধ্যমে টাকা ‘খুঁজে’ নেওয়াটাই সহজ হবে। জেলা প্রশাসনের দাবি, টাকার হদিস করতেই দু’দিন আগে ওই বৈঠক করা হয়েছে। সেখানে সমাধান সূত্র মিললেও টাকা এখনও ‘উধাও’।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement