বারবার দরবার করেও অনুমতি না মেলায় টোটো চালাতে পারছেন না চালকরা। রোজগারে টান পড়ায় শেষমেষ প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন কাটোয়ার ১৫০ জন টোটোচালক। দ্রুত বৈধ অনুমতিপত্র দেওয়ার আবেদন জানিয়ে সোমবার পুরপ্রধান, এসডিপিও এবং মহকুমাশাসককে স্মারকলিপিও দেন তাঁরা।
কাটোয়া শহর টোটো ইউনিয়ন সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরে ৩৬৭ জন টোটো চালকের মধ্যে মাস পাঁচেক আগে ২১৭ জন টোটো চালানোর অনুমতি পত্র পান। বাকিদের মধ্যে ২১ জন অনুমতিপত্রের জন্য আবেদন করলেও এখনও পাননি বলে দাবি টোটো ইউনিয়নের। আর ১২৯ জনের কেউ মাসখনেক আগে রিকশা বিক্রি করে টোটো কিনেছেন, কেউ বাঙ্ক ঋণ নিয়ে টোটো কিনেছেন। টোটো চালক দিলীপ শেখ, গোলাম আলি, শাজাহান শেখ, সঞ্জয় মণ্ডলদের দাবি, ‘‘লাখখানেক টাকা দিয়ে টোটো কেনার পর থেকেই অনুমতিপত্রের জন্য প্রশাসনের দোরে ঘুরছি। কবে তা দেওয়া হবে সে বিষয়ে ঠিক তথ্য এখনও পাইনি।’’
এ দিকে অনুমতি না মেলায় টোটো নিয়ে বেরোলেই আটক করছে পুলিশ। ৫৪০ টাকা জরিমানা দিতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ। রয়েছে টোটোর চার্জ দেওয়া, গ্যারাজের খরচও। এই পরিস্থিতিতে টোটো নিয়ে রাস্তায় বেরোতে পারছেন না তাঁরা। টোটো ইউনিয়নের সম্পাদক গৌতম দাসের অভিযোগ, প্রশাসনের ঢিলেমির সুযোগ নিচ্ছে দালালেরা। তারা অনুমতিপত্র তৈরি করে দেওয়ার নাম করে টাকা তুলছে। টোটোচালক সঞ্জয় মণ্ডল, নাড়ুগোপাল কুণ্ডুদের আবার অভিযোগ, একই চালক পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের নামে একাধিক অনুমতিপত্র তৈরি করে তা চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
মহকুমাশাসক খুরশিদ আলি কাদরির আশ্বাস, যাঁরা নিয়ম মেনে আবেদন করবেন বা করেছেন তাঁরা মাস ছ’য়েকের মধ্যে অনুমতি পত্র পেয়ে যাবেন। কী কী নথিপত্র দিতে হবে, প্রচার চালিয়ে তা জানানো বয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। এ দিকে, এখনও মাস ছ’য়েক সময় লাগতে পারে জেনে ক্ষুব্ধ টোটো চালকেরা। প্রয়োজনে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন।