মিছিলে হেলমেটহীন সওয়ারি। —নিজস্ব চিত্র।
পিছনে বসা সঙ্গীর হাতে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি-সহ ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফে’র প্ল্যাকার্ড। কিন্তু মোটরবাইক চালকের মাথায় হেলমেট নেই। আবার সেই মোটরবাইক র্যালির সামনের গাড়িতে রয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী চূড়ামণি মাহাতো। সামনের আসনে বসে তিনিও সিটবেল্ট বাঁধেননি। রবিবার দুর্গাপুরে এমন দৃশ্য দেখে পথচলতি যাত্রীদের আক্ষেপ, পথ সচেতনতা সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী লাগাতার বার্তা দিলেও তার প্রভাব পড়ছে না তাঁর দলেই।
এ দিন কমলপুর ফুটবল মাঠে তৃণমূলের আয়োজিত জনসভায় যোগ দেন রাজ্যের অনগ্রসর উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী চূড়ামণি মাহাতো, জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু, সাংসদ মমতাজ সঙ্ঘমিতা, তৃণমূলের দুর্গাপুর জেলা সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। সেখানে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’-সহ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রকল্পের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরা হয়।
ওই সভার আগে দুপুর আড়াইটা নাগাদ দুর্গাপুর হাউস থেকে কমলপুরের দিকে র্যালি শুরু হয়। সেখানে যোগ দেন শ’দুয়েক মোটরবাইক আরোহী, মন্ত্রী এবং সাংসদ। এলাকাবাসীর বক্তব্য, বহু মোটরবাইক আরোহীর মাথাতেই হেলমেট ছিল না। মন্ত্রী-সাংসদ গাড়ির সামনের সিটে বসে থাকলেও সিট বেল্ট বাঁধেননি।
এলাকাবাসী জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরে দুর্গাপুরের বিভিন্ন মোড়ে হেলমেটবিহীন মোটরবাইক আরোহী দেখলেই পুলিশ আটক করে। হেলমেট ছাড়া পেট্রোল পাম্পগুলিতে তেল না দেওয়ার বিষয়েও কড়াকড়ি রয়েছে। অথচ শাসকদলের র্যালিতে এমন ‘উল্টো ছবি’।
তবে সিটবেল্ট বাঁধা উচিত জানিয়েও মন্ত্রী চূড়ামণিবাবু বলেন, ‘‘আমি বা আমার রক্ষীরা সিটবেল্ট ছাড়াই গাড়িতে চড়ি। তবে সিটবেল্ট বাঁধা উচিত। মুখ্যমন্ত্রী বা রাজ্য সরকারের কাছ থেকে নির্দেশ এলে মানব!’’ পরে জনসভাতেও তিনি বলেন, ‘‘গাড়িতে সিট বেল্ট বাঁধা বা মোটরবাইকে হেলমেট পরা উচিত। তবে অনেক সময় হয়ে ওঠে না।’’ সাংসদ মমতাজ সঙ্ঘমিতা দাবি করেন, ‘‘শহরের ভিতরেই যাতায়াত করছিলাম বলে সিটবেল্ট বাঁধিনি।’’