অগ্নি নির্বাপণের যন্ত্রই নেই কালনায়

রোগীর চাপ বাড়ছে দিন-দিন। এক জনের শয্যায় কখনও-কখনও দু’জনকে রেখে চিকিৎসা করার দৃশ্যও চোখে পড়ছে। ভাল পরিষেবা দেওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। কিন্তু এমন গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালে কোনও অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থাই নেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৬ ০১:৫৪
Share:

তারের জাল। —নিজস্ব চিত্র।

রোগীর চাপ বাড়ছে দিন-দিন। এক জনের শয্যায় কখনও-কখনও দু’জনকে রেখে চিকিৎসা করার দৃশ্যও চোখে পড়ছে। ভাল পরিষেবা দেওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। কিন্তু এমন গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালে কোনও অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থাই নেই। কালনা হাসপাতালে সেই ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য পরিকল্পনা হয়েছে, দাবি কর্তৃপক্ষের।

Advertisement

কালনা হাসপাতালে শুধু এই মহকুমা নয়, চিকিৎসার জন্য আসেন লাগোয়া হুগলি ও নদিয়া জেলার অনেকেও। প্রায় দশ লক্ষ মানুষের বড় ভরসা এই হাসপাতাল। মেডিসিন, শল্য থেকে প্রসূতি, সব বিভাগেই সব সময় ভিড় লেগে থাকে। শয্যার সংখ্যা দু’শো হলেও সব সময়ে শ’তিনেক রোগী ভর্তি থাকেন বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। পরিষেবা আগের তুলনায় উন্নত হওয়ায় রোগীর চাপও বেড়েছে। সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালও তৈরি হচ্ছে এই চত্বরে।

কিন্তু এই হাসপাতালে কোনও অগ্নি নির্বাপণের কোনও পরিকাঠামোই গড়ে তোলা হয়নি। সমস্ত বিভাগে চলছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র। দিনভরই চালু থাকে অপারেশন থিয়েটার। হাসপাতালের ভিতরেই একটি ঘরে গ্যাস জ্বালিয়ে রান্নাবান্না হয়। অপারেশন থিয়েটর এবং মহিলা শল্য বিভাগের মাঝামাঝি খোলা তারও নজরে পড়ে। যে কোনও সময়ে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে যাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন রোগী ও তাঁদের পরিজনেরা।

Advertisement

কোনও ভাবে আগুন লাগলে সব থেকে অসুবিধা হবে এইচডিইউ বিভাগ। কারণ, এই বিভাগে ভর্তি রোগীদের হাঁটাচলার তেমন ক্ষমতা থাকে না। এসএনসিইউ বিভাগ থেকে সদ্যোজাতদের সরিয়ে নিয়ে যেতেও সমস্যায় পড়তে হবে। হাসপাতালের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর কয়েক আগে হাসপাতালের রান্নাঘরের কাছাকাছি একটি জায়গা থেকে আগুন লেগেছিল। তবে আগুন না ছড়ানোয় তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি। এর পরে কয়েকটি অগ্নি নির্বাপণের সিলিন্ডার বসানো হয়েছিল। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যে সেগুলি উধাও হয়ে গিয়েছে। রোগীর আত্মীয় পরিমল ঘোষ, কমল পালদের দাবি, ‘‘মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।’’

হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বরাই জানান, মাসখানেক আগেই সমস্ত বিভাগে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ব্যাপারে দমকলের সঙ্গে পরামর্শ করে ২৫ লক্ষ টাকা অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। তাতে হাসপাতালের ৪৫টি জায়গায় অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র বসানো হবে বলে ঠিক হয়েছে। ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিঠি পাঠিয়েছেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে। সুপারের দাবি, ইতিমধ্যেই বিষয়টি জেলা থেকে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে পাঠানো হয়েছে। শীঘ্রই যন্ত্রগুলি হাসপাতালে বসানো হবে বলে আশ্বাস মিলেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement